বেশ কিছু বছর আগে বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার একটি সিনেমা ভিকি ডোনার রিলিজ হয়েছিল যেখানে তিনি ভিকি নামে এক যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একজন শুক্রাণু দাতা (Sperm Donar) হয়ে ওঠে। পরে তার বিয়ে হয়ে যায় কিন্তু তারপরও সে শুক্রাণু দাতার এই কাজ চালিয়ে যায় এবং তারপর একদিন তার স্ত্রীর সামনে তার রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। এটি একটি সিনেমার চিত্রনাট্য ছিল কিন্তু এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে একজন বাস্তব জীবনের ভিকি ডোনার সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। আসলে বহু বছর ধরে স্ত্রীর কাছ থেকে লুকিয়ে শুক্রাণু দান করে আসছিলেন এই ব্যক্তি, কিন্তু একদিন স্ত্রী জানতে পেরে গেলেন। তারপর
স্পার্ম ডোনার হওয়ার বিষয়টি তার স্ত্রীর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা তার জন্য বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালো। ওই ব্যাক্তি তার সম্পূর্ন অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট রেডিটের পোস্টে শেয়ার করেছে যেটা ভাইরাল হয়েছে।
পোস্টে, লোকটি লিখেছেন যে তিনি এবং তার বর্তমান স্ত্রী (তৎকালীন প্রেমিকা) যখন তাদের কলেজের শেষ বছরে ছিলেন তখন তিনি কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য প্রথমবার তার শুক্রাণু দান করেছিলেন। এরপরে তার সাথে ওই যুবতীর বিয়ে হয়ে যায়। যুবকটি ৬ বছর ধরে বিবাহিত এবং তার একটি সন্তানও রয়েছে। লোকটি লিখেছেন যে তিনি তার প্রেমিকা কে বিয়ে করার আগে তার আরেক সহপাঠীকে শুক্রাণু দান করেছিলেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি যখন স্পার্ম ডোনার হয়েছিলাম তখন কলেজে পড়েছিলাম। রাশিয়ায় থেকে আমি কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য এটি করেছি এবং আমি ভাবতাম যে আমি তাদের সাহায্য করছি যারা সন্তান নিতে চায় কিন্তু কিছু কারণে তারা তা করতে পারছে না।
তিনি আরও লিখেছেন যে বিয়ের পর তিনি শুক্রাণু দান করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন কিন্তু কয়েক বছর আগে আর্থিক সংকটের কারণে আবার এই কাজ শুরু করেছিলেন। তবে এবারও স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন তিনি।
কিন্তু বিষয়টি বেশি দিন লুকিয়ে রাখা যায় না। একদিন বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় বেফাঁস কথা বলে ধরা পড়ে যান ওই ব্যক্তি। তার স্ত্রী এটা শুনে হতাশ হয়ে পড়েন। ওই ব্যক্তি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তার এবং তার স্ত্রীর সন্তানই তার আপন। কিন্তু তার স্ত্রী কিছুতেই ব্যাপারটা বুঝতে চায় না আর নিজেকে প্রতারিত মনে করে।
সর্বোপরি, স্ত্রী এই সত্যটি মেনে নিতে পারেননি যে তার নিজের সন্তান ছাড়াও তার স্বামীর আরো সন্তানও রয়েছে এবং এখন তিনি স্বামীর কাছে ডিভোর্স চেয়েছেন। দুজনেই তাদের সন্তানদের তাদের দিদা দাদুর কাছে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন যাতে তারা জীবনের পরবর্তী পথের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।