ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্থানে সম্প্রতি রহস্যময় কিছু ধাতব স্তম্ভের আবির্ভাব ঘটে। পরে সেগুলো উধাও-ও হয়ে যায়। এসব স্তম্ভ পরিচিত মনোলিথ হিসেবে। এর পরই সোশাল মিডিয়াতে এসব মনলিথ সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এগুলোকে ভিন্ন গ্রহের প্রযুক্তি থেকে শুরু করে পাগলাটে কোনো শিল্পীর শিল্পকর্ম বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে কোনো কোনো হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ায় আগ্রহ ও রহস্য আরও ঘনীভূত হয়।
পৃথিবী জুড়ে প্রশ্ন কী এই মনোলিথ? কেনই বা একে নিয়ে এত রহস্য? প্রিজম আকৃতির চকচকে ধাতব একটি স্তম্ভ। যা এই মুহূর্তে ‘মনোলিথ’ হিসেবে পরিচত। হঠাৎই অঘটনের বছরে ১৮ নভেম্বর এই ধাতব পাতের দেখা মেলে উটাহর পর্বতে। ওই পর্বতে এমন চকচকে ধাতব প্রিজম কোথা থেকে এল তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
মজার বিষয় হল, ২৭ নভেম্বর মনোলিথটি উধাও হয়। শোরগোল আরও বাড়িয়ে দেয় আচমকা মনোলিথটির অন্তর্ধান রহস্য। আর এদিকে ইউরোপের রোমানিয়ার পাহাড়ে ২৬ নভেম্বর রাতে এক মনোলিথের দেখা মেলে। দুটিকে প্রায় একই রকম দেখতে। জানা গিয়েছে, রহস্যময় ধাতব পাতগুলি প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু। চকচকে। তিনকোনা যুক্ত। রোমানিয়ার পাতটির গায়ে গ্রাফিটি করা ছিল বলে দাবি।
মনোলিথকে ঘিরেও তাই জল্পনা ক্রমশ আকাশ ছুঁয়ে ফেলতে সময় নেয়নি। প্রথমে আমেরিকার উটাহ (Utah)। তারপর রোমানিয়া হয়ে ক্রমশ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যত গজিয়ে উঠেছে রহস্যময় তিনকোনা ধাতব মনোলিথ, তত ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। কোথা থেকে আসছে এরা? তারপর রাতারাতি উধাও-ও হয়ে যাচ্ছে! ব্যাপারটা কী? এর সঙ্গে কি সত্যিই রয়েছে ভিনগ্রহীদের যোগ?
টম ডানফোর্ড। বয়স ২৯। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে ‘আইল অফ উইট’-এ তাঁর বাড়ি। এই যুবকই একদিন বিকেলে আচমকাই আবিষ্কার করেন সমুদ্র সৈকতে খাড়া দাঁড়িয়ে রয়েছে আস্ত এক মনোলিথ। প্রবল হইহই পড়ে গেল। লেখা হচ্ছিল একের পর এক রিপোর্ট। আবার ফিরে এসেছে মনোলিথ। এবার ইংল্যান্ডের… কিন্তু আচমকাই সব উত্তেজনাকে ফুঁ দিয়ে নিবিয়ে ডানফোর্ডের সটান স্বীকারোক্তি, ওটা তাঁরই নিজের হাতে তৈরি!