তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদ থেকে একটি মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মেট্রো স্টেশন বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে নিজের প্রাণ দিয়ে দিয়েছে এক তরুণী। রক্তাক্ত এবং আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে এরপর নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
২১ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম শবনম, সে বানজারা হিলসের শ্রীরাম নগর এলাকার বাসিন্দা। সূত্র অনুযায়ী ইএসআর মেট্রো স্টেশন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে মেয়েটি প্রেম করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবার এই বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না। তারা তরুনীর প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না।
মঙ্গলবার তার বিয়ে নিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর মেট্রো স্টেশনের বিল্ডিং এর উপরে উঠে সেখান থেকে লাফ দেন তিনি। তার এই লাফ দেওয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ স্টেশনে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। যাতে বিষয়টি তদন্ত করা যায়।
এ ঘটনার পর মেয়েটির পরিবারের লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া। পুলিশ বলছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে বিয়ের মাত্র একদিন পর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সী শুভম কেশরওয়ানি প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। মৃতদেহের কাছে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে যেখানে মৃত তার এই পরিণতির জন্য তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর দুই প্রেমিককে দায়ী করেছে।
বিষয়টি প্রয়াগরাজ এর জর্জটাউন থানা এলাকার। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারের সদস্যরা।
শহরের কিডগঞ্জের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী শুভম একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং দারাগঞ্জ এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ২২শে মার্চ দুজনেই তাদের না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর ৩ এপ্রিল চক এলাকায় অবস্থিত আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে হয় দুজনের।
বিয়ের পর সোমবার শুভম কিছু না জানিয়ে বাড়ির কোথাও চলে যায়। পরিবারের সদস্যরা পরে খবর পান যে শুভম সোবতিয়াবাগের রেললাইনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবার পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশের পঞ্চনামা করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।