মজার জন্য মানুষ কী না করে? কিন্তু কিছু মানুষ উত্তেজনা আর নিছক আনন্দের জন্য যা করে তার ফল হয় সুদূরপ্রসারী। যেমন হল এই কিশোরীর সাথে।
কিশোর বয়সে পর্ণোগ্রাফি এর প্রতি ঝোঁক খুব স্বাভাবিক। তেমনই আগ্রহ জন্মেছিল এই কিশোরীর ও। বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে এই বিষয়ে আলোচনা শুনে তার মনে কৌতূহল জেগে উঠেছিল পর্নগ্রাফি ঘিরে। কিন্তু প্রথমবার নীলছবি দেখার অভিজ্ঞতা যে এত ভয়াবহ হতে পারে সেটা বোধহয় ওই কিশোরী সপ্নেও ভাবেনি। যা তাঁকে রীতিমত মানসিক ট্রমায় ফেলে দিয়েছিল।
পর্ন ছবির দেখার কৌতহলে একদিন হঠাৎই স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাড়ি চলে আসে কিশোরী। ১৫ বছরের কিশোরী জানত বাবা মায়ের বেডরুমে আছে কিছু প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার ক্যাসেট৷ বাবা, মায়ের ঘর থেকেই সে তুলে নে একটা ব্লু ফিল্মের সিডি। আগ্রহভরে সেটা নিয়ে চালাতেই শিউরে ওঠে ওই তরুণী।
কি ছিল সেই সিডিতে। ব্লু ফিল্ম শুরু হতেই টিভির পর্দায় ওই তরুণী দেখতে পায় একটি সোফা৷ যা দেখতে একেবারে তার নিজের বাড়ির একটি সোফার মতো৷ সেই সোফার উপরে নগ্ন অবস্থায় বসে রয়েছেন মহিলা৷ অবশ্য সেই মহিলার মুখ দৃশ্যমান নয়।
এরপরই দেখা যায় আরেকজন নগ্ন পুরুষ। অবশ্য সে ক্যামেরার দিকে পেছন ফিরেছিল। স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল ওই পুরুষের নগ্ন নিতম্ব৷ মহিলার উপরে শুয়ে পড়েন ওই নগ্ন ব্যাক্তি। মিশনারি পজিশনে সেক্স করতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি৷ কিশোরীর বক্তব্য অনুযায়ী এই পর্ন ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে ট্রাইপডের সাহায্যে৷ যৌনতায় মেতে থাকা ব্যাক্তি ক্যামেরার দিকে তাকাতেই যেন মাথা ঘুরে যায় কিশোরীর। সে দেখে ব্যাক্তি আর কেউ নয় তার পিতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কিশোরী জানায়, তিনি নিজের চোখে কি দেখেছিলেন কাউকে বলতে না পেরে ভিতরে ভিতরে গুমরে উঠেছিলেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন নিজের ভাইয়ের সাথে এই কথা শেয়ার করার। এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ওই তরুণী দ্রুত ভুলে যেতে চান৷