স্কুল কলেজের ছাত্রদের কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা নিয়ম ভাঙলে বা খারাপ আচরণ করলে শিক্ষকরা তাদের শাস্তি দিতে ভোলেন না যাতে তারা আবার এমন কাজ না করে। তবে বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিয়ে বোঝানো সহজ নয়। শিক্ষকের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতে কোনো অন্যায় কাজ না করে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে সীমা অতিক্রম করলে শিক্ষকদের এমন পদক্ষেপ নিতে হয়। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে শিক্ষকের কঠোর হওয়া উচিত। যে সকল শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষকের কথা মানে না, তাদের যথাযথভাবে শিক্ষা দিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে স্কুলে মোবাইল নিয়ে গিয়ে বিশৃঙ্খল কাজ সংক্রান্ত কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যে শোনা যায়।
অনেক স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে স্মার্টফোন নিয়ে আসে, তাদের ফোন কয়েক ঘণ্টা বা দিনের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয় অনেক স্কুলেই। তবে সেই স্মার্টফোনগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা বা নষ্ট করা হচ্ছে শুনলে যে কেউ অবাক হবেন। এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে স্কুলের শিক্ষক স্মার্টফোন ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করার পর পুড়িয়ে ফেলেছেন এমনটাই খবর পাওয়া গেছে। এই সময় কেউ এটির একটি ভিডিও তৈরি করে এবং এখন এটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুলে। স্টুডেন্ট দের কাছ থেকে মোবাইলগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তারপরে সমস্ত ছাত্রদের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ছাত্রদের চিৎকার-চেঁচামেচি সত্ত্বেও শিক্ষকরা তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মোবাইলে আগুন ধরানো অব্যাহত রাখেন। টিকটক, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করার পরে ক্লিপটি এখন ভাইরাল হয়েছে। ছাত্ররা শিক্ষকদের কাছে এমন না করার জন্য অনুরোধ করলেও কোন লাভ হয় না। ইন্দোনেশিয়ার কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে তার কোনো উল্লেখ নেই। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি বোর্ডিং স্কুলে।