Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

টিচার স্টুডেন্টদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পর্ন লিঙ্ক শেয়ার করলেন স্কুলশিক্ষক! দিলেন অদ্ভুত যুক্তিও

করোনা কালে অনলাইনে চলছিল ক্লাস। এছাড়াও শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য অনেক টিচার স্টুডেন্ট সদস্য হয়েছিল নানা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের। কিন্তু সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ঘিরেই সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর কান্ড ঘটে গেছে। এক স্কুল শিক্ষিক ছাত্র এবং আরো মহিলা শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতেই সেই গ্রুপে পর্ন ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার। সেখানে কৃপাশঙ্কর চতুর্বেদী নামে এক শিক্ষক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি পর্ন ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। সেই গ্রুপে ২৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ১০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী সদস্য ছিলেন। গ্রুপে পর্ন ভিডিওর লিংক আসতেই ৬০ জনের বেশি মহিলা শিক্ষক তৎক্ষনাৎ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে চলে যান। শুধু তাই নয়, নীল ছবির লিংক পাঠানো শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে। তবে শেষ জানা পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পর্ন লিঙ্ক শেয়ার করা শিক্ষকের সাফাই:

এই পুরো ডামাডোলের মধ্যে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পর্ন লিঙ্কটি শেয়ার করা কৃপাশঙ্কর চতুর্বেদী নিজের পক্ষ রাখতে অদ্ভুত কিছু সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভুলবশত ভিডিওটির লিংক ওই গ্রুপের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। কৃপাশঙ্কর চতুর্বেদী নামের ওই শিক্ষক আরো বলেছেন যে তার চোখে চশমা রয়েছে। চশমা ছাড়া তিনি স্পষ্ট দেখতে পান না। আর যখন তিনি ওই টিচার স্টুডেন্টদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিঙ্কটি শেয়ার করেছিলেন, তখন তিনি চশমা পরেছিলেন না। তাই ঠিক মত দেখতে না পেয়ে ভুলবশত এমনটা হয়েছে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে যাওয়া অনেক শিক্ষক বলছেন, কৃপাশঙ্কর আগেও বহুবার এমন কাজ করেছেন।

কৃপাশঙ্করের এই কাজের বর্ণনা দিয়ে একজন মহিলা শিক্ষক বলেছেন যে পর্ণ ভিডিওর লিঙ্কটি রাজ্য শিক্ষা কেন্দ্রের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘ডিজিএলইএপি’-তে শেয়ার করা হয়েছিল। এই দলে অভিযুক্ত শিক্ষকের নিজের স্কুলের ৩০ জন শিশু ও অভিভাবকও উপস্থিত ছিল। এছাড়াও রেওয়া জেলার আরো ২৮টি স্কুলের ১৮০ জন শিক্ষার্থীকেও একই গ্রুপে যুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও ব্লকের স্কুলের ৬৫ জন মহিলা শিক্ষকও গ্রুপে ছিলেন। এখন সবাই অবশ্য গ্রুপ ত্যাগ করেছেন।

এই পুরো বিষয়ে, জেলা প্রকল্প সমন্বয় (ডিপিসি) জানিয়েছে যে তারা শিক্ষক কৃপাশঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মার্তন্ড ৩ নম্বরের এক নারী শিক্ষক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃপাশঙ্কর চতুর্বেদীর মতন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা উচিত।

Related posts

প্রবল বৃ্ষ্টিতে প্লাস্টিকে মুড়ে মা’কে শহরের রাস্তায় ফেলে গেল মেয়ে! মৃত্যু অসহায় বৃদ্ধার

News Desk

রুদ্রাক্ষ কী? একমুখী থেকে পঞ্চমুখী… কোন রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে কি ফল পাওয়া যায়?

News Desk

অন্ধ্রের উমা মহেশ্বর মন্দিরে আকারে বেড়ে উঠছে মূর্তি, রহস্যের কিনারা হয়নি আজও

News Desk