ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ অনেক সময়ই তান্ত্রিক, বা সাধুদের কাছে গিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই কিছু প্রতারক সাধু বা তান্ত্রিকের বেশে কুকর্ম করে থাকে। যেমন এই তান্ত্রিক। পূজা করার আগে মহিলাদের নগ্ন হয়ে তার সাথে পূজা করতে বলতেন। একজন দুজন নয়, অনেক নারীর সাথেই তিনি এই কাজ করেছেন এবং এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে সে বহু মহিলা কে ধর্ষণও করেছে। তন্ত্র সাধনার নামে তিনি প্রায় ৪০০ জনকে নিজের শিকার বানিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ৪৯ বছর বয়সী রাজেন্দ্র কুমার বাল্মীকি নামক এক তান্ত্রিকের কথা যাকে সম্প্রতি রাজস্থানের আজমির থেকে পাকড়াও করা হয়েছে।
রাজেন্দ্র কুমার সম্পর্কে এখনও অবধি যা জানা গেছে যে তিনি দিল্লির বাসিন্দা। পুলিশি তদন্তে আরও জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি ট্যাক্সি চালাতেন। এরপরই তিনি ভেক ধরে তান্ত্রিক সেজে ব্যবসা পেতে বসে। এই ব্যবসা করে ভালোই আয় করতেন তিনি। তাই সে মানুষকে ভূত-প্রেতের ভয় দেখাতে থাকে এবং নিজেকে তান্ত্রিক বলতে শুরু করে। তিনি দাবি করেন যে তিনি তার তন্ত্র বিদ্যা দিয়ে প্রায় চারশো জনকে সুস্থ করেছেন।
কিন্তু পুলিশি তদন্ত যতই এগিয়েছে, ততই জানা গেছে যে, এই তান্ত্রিক যে কোনও ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে পারতেন। কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত তার শিষ্য এবং অন্ধ ভক্তদের সহায়তায় মানুষের বাড়িতে প্রবেশ করত। এরপর তিনি মহিলাদের নগ্ন করে তাদের একসঙ্গে পূজা করতে বলতেন। এ সময় মহিলাদের ধর্ষণ এর মতন কুকর্মও ঘটিয়েছেন তিনি। পুলিশ বলছে, অপবাদের ভয়ে কেউ অভিযুক্ত তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে পুলিশে জানায় নি।
এই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা আজমিরের এক মহিলার আত্মীয়ও এই তান্ত্রিকের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আজমিরের আদর্শ নগরের পুলিশ অফিসার সুগন সিং জানিয়েছেন, এই তান্ত্রিকের সঙ্গে আরও অনেকে এই নোংরা খেলায় জড়িত ছিল। তার মোবাইলও পরীক্ষা করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিনি জুয়া ও বাজি খেলারও শৌখিন। তবে এখনও এই তান্ত্রিকের অপরাধের শিকড় কতটা গভীর তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।