রোগাক্রান্ত বয়স্ক মানুষদের মন বিষাদে ভরে উঠেছে! তাদের মন ভালো রাখতেই আনা হল লাস্যময়ী এক তরুণীকে। বহুদিন আগেই যৌবন কাল ফেলে এসেছেন তারা, আর তাদেরই একটু মন ভালো করতে তিনি নাচলেন তাদের সামনেই। দেহ থেকে একটার পর একটা পোশাক খুলে পড়লো ! এটা কোনও স্ট্রিপ ক্লাবের ঘটনা নয়। এ ঘটনা তাইওয়ানের এক সরকারি নার্সিংহোমের। যা সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে দক্ষিণ চিন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে। সরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের থেকে হওয়া এমন কান্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। এমনকি তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্যেও বলছেন অনেকেই। এই নিয়ে সাফাই দিয়েছে তাইওয়ানের ওই নার্সিংহোম।
‘তাওউয়ান ভেটেরান হোম’ তাইওয়ানের সরকার পরিচালিত। মূলত প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্যেই, এই নার্সিংহোম তৈরি করেছে তাইওয়ান সরকার। এখানেই রোগীদের ‘মনোরঞ্জনের’ জন্য সম্প্রতি স্ট্রিপার ভাড়া করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে সার দিয়ে নার্সিংহোমের বারান্দায় হুইলচেয়ারে বসে রয়েছেন বয়স্ক রোগীরা। আর ওই তরুণী তাঁদের সামনে নেচে চলেছেন। একটু একটু করে নিজেকে অনাবৃত করেন তিনি নাচের তালে তালে। শুধু তাই নয়, একজন রোগীর গালে একটা সময় চুম্বন করতেও দেখা যায় ওই স্ট্রিপারকে।তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করতেও দেখা গিয়েছে জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছনো রোগশয্যায় থাকা প্রৌঢ় রোগীদের সেই ভিডিয়োয়। সমানে হাততালি দিতে থাকেন তাঁরা স্ট্রিপার তরুণীকে উৎসাহ দিতে।
এই দ্বীপরাষ্ট্রকে গত কয়েক মাস ধরেই চীন হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি সামরিক অভিযান চালাতে পারে বেজিং বলেও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কীভাবে, কার অনুমতি নিয়ে এই অবস্থায় প্রাক্তন সেনাকর্তাদের জন্য তৈরি ওই হোমে স্ট্রিপার আনা হল? বহু তাইওয়ানবাসী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন।