উত্তরপ্রদেশের মহোবা জেলার চরখারি থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম থেকে একটি মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। এই গ্রামে স্কুল পড়ুয়া এক নাবালিকা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রী প্রথমে সিঁথিতে সিঁদুর পড়েছিল, পরে মঙ্গলসূত্র পরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন। এতে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলে ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। যেখানে এক যুবককে পালিয়ে বিয়ে করা নিয়ে গ্রামবাসীরা তাকে নানা কটূক্তি করছিল বলে উল্লেখ আছে। যার কারণে মানসিক কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই গ্রামের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা-মা দিল্লিতে থাকেন এবং শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। কিশোরী তার ছোট ভাই বোনের সাথে কাকা ও কাকীর সাথে গ্রামে থাকতেন। মেয়েটি ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে ঘরের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। যার কারণে তার মৃত্যু হয়। সকালে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সিথিতে সিঁদুর পরে , আর মঙ্গলসূত্র গলায় দিয়ে সে আত্মহত্যার পথ বেছেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে মৃত কিশোরী এক যুবককে গোপনে বিয়ে করার কথা জানিয়েছে এবং বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গ্রামবাসীদের নানা রকম কটূক্তির শিকার হওয়ার কথাও উল্লেখ আছে। এই ঘটনার কারণে তিনি বিরক্ত হন। তবে সুইসাইড নোটে ওই যুবকের নাম উল্লেখ নেই। ঘটনার খবর পৌঁছলেও গভীর সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি নিহতের বাবা-মা। চরখাড়ি কোতোয়ালির ইনচার্জ শশী কুমার পান্ডে জানিয়েছেন, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে একেবারে বিবাহিত মহিলার সাজে সেজেই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রাথমিক ভাবে গ্রামবাসীর কটূক্তির জেরে আত্মহত্যার কারণ সামনে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।