টাকা চুরি হয়, সোনা-গয়নার চুরি হয়, অনেক মূল্যবান ধণ সম্পত্তি মাঝে মধ্যে চুরি হয়। কিন্তু কেজি কে কেজি গোবর চুরি হয়। এমন আশ্চর্য কথা কেউ শুনেছে। তবে এমনই এক অদ্ভুত চুরির ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের একটি গ্রামে। এই গোবর চুরির ঘটনায় অবাক সকল গ্রামবাসীই। আর অল্পসল্প নয় চুরি হয়ে গেল প্রায় ৮০০ কেজি গোবর। যার আনুমানিক দাম খুব একটা বেশীও নয়। ইতিমধ্যেই ওই অজ্ঞাতপরিচয় গোবর চোরদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । পুলিশ নেমেছে তদন্তে।
এই নিয়ে চাঞ্চল্যও বেশ ছড়িয়েছে ছত্তিশগড়ের ধুরেনা গ্রামে। গরু এই গ্রামে কমবেশি প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে। তাদের উপার্জনও মূলত সেই গরুর গোবর থেকে হয়। এই গোবর এক বিশেষ প্রকল্পের আওতায় প্রতি কেজি ২ টাকা দামে বিক্রি করে তারা। কিন্তু চুরি হয়ে গেল কিনা সেই গোবরই। তাও অল্প সল্প নয়, ৮০০ কেজি। গ্রামজুড়ে এই ঘটনার পর থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ এবং ৯ জুনের মধ্যবর্তী রাতে।
দিপকা থানার পুলিশ আধিকারিক হরিশ তান্ডেকর এই বিষয়ে জানিয়েছে, ১৫ জুন কামহান সিং কানওয়ার নামক এক ব্যাক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যে নাকি গৌথান সমিতির গ্রামের প্রধান। তবে রবিবার সামনে এসেছে বিষয়টি। পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, বাজারে মোটামুটি আনুমানিক দাম ১,৬০০ টাকার মতোই পড়বে ওই চুরি যাওয়া ৮০০ কেজি গোরবের দাম। কিন্তু গোবর কে বা কারা চুরি করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এত গোবর চুরি করা হয়েছে কোন উদ্দেশ্যে, তা নিয়েও ধন্দে আছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ছত্তিশগড় সরকার ‘গোধন ন্যায় যোজনা’ নামক প্রকল্পের আওতায় প্রতি কেজি গোবর দু’টাকায় কিনছে। যে গোবর কেনা হচ্ছে, তা রাখা হচ্ছে এক গৌঠানে (কোনও গ্রামের নির্দিষ্ট এলাকা, যেখানে দিনের বেলায় গবাদি পশুদের রাখা হয়)। ছত্তিশগড় সরকার এই গোবরের মাধ্যমেই প্রাকৃতিক সার উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে। যার কারণেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোবর কেনা হচ্ছে। বহু গ্রামবাসীরই অনুমান, এই বিশাল পরিমাণ গোবর আসলে বিক্রি করে মুনাফা লোটার জন্য চুরি করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ। তবে জারি রয়েছে তদন্ত।