এমন অদ্ভুত সমস্যার কথা কেউ কি কখনো শুনেছে? এক ব্যাক্তি তার শরীরের এক বিশেষ অঙ্গ থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন। তার শ্বাসকষ্টও হতে শুরু করে। তার মুখ ফুলে গিয়েছিল। এরপর চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে দেখতে পান যে তার অণ্ডকোষ থেকে শীষের মতো শব্দ বের হচ্ছে। এ কারণে তার শরীরে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি বাতাস ভর্তি হতে থাকে এবং তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর। একজন ৭৩ বছর বয়সী লোক তার শরীর থেকে তীক্ষ্ণ শব্দ শুনতে পান। এরপর তার পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেল তার ‘হুইসলিং স্ক্রোটাম’ আছে। তিনিই বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি এই রোগে (গুপ্ত রোগ) আক্রান্ত হয়েছেন। আমেরিকান জার্নাল অফ কেস রিপোর্টের নতুন এক গবেষণায় এই দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে গেছিল এবং তার মুখ ফুলে গিয়েছিল। তিনি তার অদ্ভুত অবস্থার কথা বলেন, এরপর তাকে এমারজেন্সি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার বুকের এক্স-রে করা হয়। এতে দেখা যায় যে তার শরীরে প্রচুর বাতাস রয়েছে। এ কারণে তাদের ফুসফুস সঙ্কুচিত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা না করালে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস চিরতরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে তাঁর মৃত্যুও হতে পারে। পরে ওই ব্যক্তির শরীর থেকে আসা অদ্ভুত শব্দও জানা যায়। এটি তার অণ্ডকোষের বাম পাশে একটি খোলা ক্ষত থেকে আসছে। আসলে, ৫ মাস আগে, লোকটির অণ্ডকোষের অস্ত্রোপচার হয়েছিল (গুপ্ত রোগের কারণে)। তার কারণেই এই ক্ষত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট ও ফুলে যাওয়া শরীরে অস্ত্রোপচারের জটিলতার কারণে এমনটি হয়েছে। ব্যক্তির শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত বায়ু অপসারণের জন্য তার বুকে দুটি প্লাস্টিকের টিউব বসাতে হয়েছিল। হাসপাতালে তিন দিন কাটানোর পর লোকটির ফুসফুস সুস্থ হয়ে ওঠে। এর পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।