জীব বৈচিত্রের নিদর্শন নাকি দৈব অলৌকিক কিছু? ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওয়ের একটি গ্রামে এক অদ্ভুত ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে এক কৃষক যার নাম হেমন্ত চন্দেল, সেই কৃষকের গৃহে একটি বিরল বাছুরের জন্ম হয়েছে। বাছুরটি তিনটি চোখ ও চারটি নাকের ছিদ্র বিশিষ্ট একটি বাছুর। কৃষকের গাভীটি এই অদ্ভুত দর্শন বাছুর প্রসব করার সাথে সাথেই দূরদূরান্তের গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে হেমন্ত চন্ডেলের গাভী একটি অদ্ভুত বাছুরের জন্ম দিয়েছে, তার পরেই কৃষকের বাড়িতে লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করে। এই বাছুরের খবর শুনে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ তাকে দেখতে ছুটে আসে।
যত লোকই বাছুরটিকে দেখেছিল, সবাই মানতে শুরু করল এই বাছুরটি নিশ্চয় “ঈশ্বরের অবতার”। মানুষ এখানেই থেমে থাকেনি, বাছুর কে পুজো দিতে বহু সংখ্যক মানুষ কৃষকের বাড়িতে জড়ো হয়ে তাঁকে পুজো দিতে থাকে। আশেপাশের গ্রাম ও শহরের বাসিন্দারা একে ভগবান শিবের রূপ বলে বর্ণনা করতে শুরু করেছেন। লোকজনকে চান্দেলের বাড়ির বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গাভীকে ফুল ও নারকেল দিতে দেখা যায়।
কৃষক চান্দেল বলেন, বাছুরের কপালের মাঝখানে একটি অতিরিক্ত চোখ এবং চারটি নাসারন্ধ্র রয়েছে। এর লেজ দেখতে ‘জটা’র মতো এবং এর জিহ্বাও সাধারণ গরুর চেয়ে লম্বা। তবে জিভ লম্বা হওয়ার কারণে মা গরুর দুধ পান করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে বাছুরটি। আমরা তাকে খেতে সাহায্য করছি। পশু চিকিৎসক জানিয়েছেন বাছুরটির স্বাস্থ্য ভালো।
পশু চিকিৎসক আর জীব বিশেষজ্ঞরা জানান, অদ্ভুত দেখতে হলেও সদ্যোজাত এই বাছুরটি একেবারেই সুস্থ ও স্বাভাবিক। কোনও ধরনের জন্মগত আর জিনগত ক্রুটির কারণেই তার তিনটি চোখ এবং নাকের ছিদ্র চারটি। এছাড়া অন্য কোনো ব্যাপার নয়। তবে এইসব বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে কান দিতে নারাজ অন্ধবিশ্বাসীরা। আপাতত শিবের অবতারের জন্ম ঘিরে সরগরম রাজনন্দগাঁও।