Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয় , রহস্যময় ভীমকুণ্ডের সুগভীরে লুকিয়ে আছে কি রহস্য?

ভীমকুণ্ড, নামটা মোটামুটি সকলেই শুনেছেন।  মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার এই প্রাকৃতিক জলাশয় একটা ঐতিহাসিক এবং মহাকাব্যিক স্থান। বহু মানুষ এটিতে নীলকুণ্ড নামেও চেনেন। হিন্দু ধর্মের মহাকাব্য মহাভারতেও এই জলাশয়ের ব্যাপারে উল্লেখ আছে। কিন্তু এই ভীমকুণ্ডকে ঘিরেই একটা রহস্যকাহিনি রয়েছে। জানেন কী সেই কাহিনি? জেনে নিন এখানে।

ভীমকুণ্ড দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ জলাশয়ের থেকে খুব একটা আলাদা নয়। কিন্তু  ছতরপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ভিমকুণ্ড কোনও সাধারণ জলাশয় নয়। এই কুণ্ডের গভীরতা মাপা যায় নি আজও। এই কুণ্ডের ২৫০ ফুট নীচে রয়েছে ভয়ঙ্কর স্রোতের রহস্যও যা আজও বিশেষজ্ঞদের কাছে।

দাবি করা হয়, এই কুণ্ডের সঠিক গভীরতা ঠিক কতটা এখনও পর্যন্ত কেউ সেটা জানে না। এই গভীরতা মাপতে সক্ষম হননি স্থানীয় প্রশাসন থেকে বিদেশি বৈজ্ঞানিকদের কেউই একটি দলও ব্যর্থ হয় এই অভিযানে। যারাই এই কুণ্ডের গভীরতা মাপতে গিয়েছে দাবী করেছে, ভীমকুণ্ডের ২৫০ ফুট গভীরে যাওয়ার পরই তীব্র স্রোতের উপস্থিতি টের পেয়েছে তারা। সেই স্রোত কাটিয়ে এগোনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই স্রোত কোথা আসছে কোথা থেকে সেই রহস্য এখনও ভেদ করা সম্ভব হয়নি।

এই রহস্য জনক কুন্ড নাকি মহাদেশে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্কেত দেয়। স্থানীয়দের দাবি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আসন্ন হলেই ভীমকুণ্ডের শান্ত জলে একটা আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। এটি প্রথম পরিলক্ষিত হয় ২০০৪ সালের এর ভয়ঙ্কর সুনামির সময়। এই সময় ভীমকুণ্ডের এক ‘অদ্ভুত ক্ষমতা’ চোখে পড়ে কাছাকাছির বাসিন্দাদের। তারা বলেন সেই সময় শান্ত ভীমকুণ্ডের জল প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতা ছুঁয়েছিল।

ভীমকুণ্ডের জল ভীষণ পবিত্র বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মকর সংক্রান্তির দিনে এই স্থানে স্নান করা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়।

Related posts

আশ্চর্যজনক ভাবে এই রহস্যময় গ্রামে বসবাসকারী মানুষ পশু পাখি সকলেই অন্ধ, কারণ কী?

News Desk

যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হননি, এদিকে প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটে রিপোর্ট এল ‘পজিটিভ’! হতবাক তরুণী

News Desk

বর্ষার পরে কি অস্তিত্ব থাকবে, নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে এই গ্রামের

News Desk