করোনাবিধি সম্পূর্ণরূপে দেশ থেকে উঠে যাচ্ছে প্রায় দীর্ঘ বছর দুই পর। করোনার সব রকম বাধা বা বিধিনিষেধ সম্পূর্ণরূপে উঠে যাবে শুক্রবার মাঝরাত থেকেই। তবে এই করোনাবিধি উঠে গেলেও মাস্ক স্যানিটাইজার এর ব্যবহার ভুললে চলবে না কোনও ভাবেই। নবান্ন থেকে জারি করা হয়েছে এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তি। সেখানে বলা হয়েছে, করোনার পরিস্থিতি বিচার করেই সঠিক সময়ে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। অতিমারী আইন ২০০৫ এর কথা মাথায় রেখেই লঘু করা হয়েছে করোনাবিধি। রাজ্য থেকে যে করোনাবিধি ৩১শে মার্চ অবধি বহাল করা হয়েছিল তা থাকছেই কিন্তু এপ্রিলের প্রথম দিনের মধ্যরাত থেকেই করোনাবিধি একেবারে উঠে যাচ্ছে।
রাজ্যে করোনার গ্রাফ (Corona Graph) যথেষ্ট নিম্নমুখী হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাজ্যসরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হল। যদিও জনগণকে পরামর্শ দিয়েছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের। এতগুলো দিন নাইট কারফিউ অর্থাৎ রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কড়াকড়ি বহাল ছিল। কিন্তু আর কোনোমতেই এবার সেই কড়াকড়ি থাকছেনা। রাজ্যে আবারও স্বাভাবিক অবস্থা দেখা যাবে যা ছিল ঠিক আজ থেকে ২বছর আগে। যদিও কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছিল যে করোনার পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্যগুলি বিধিনিষেধ তুলে নেবে।
তবে দেশ সুস্থতার দিকেই এগোচ্ছে। করোনার দৈনিক সংক্রমণের ওঠানামা মোটের উপর এদিনও জারি। এদিন দৈনিক সংক্রমণ ও করোনায় মৃতের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও গতকালের চেয়ে তা উদ্বেগজনক নয়। এদিন করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। সবদিক থেকেই দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি নজরে আসছে। রাজ্যে করোনাবিধি তাই তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কোভিড বিধি নিয়ে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র। তারপর থেকে কখনও দীর্ঘ লকডাউন আবার কখনো করোনাবিধি মেনে জীবন চলা, সব কিছুই দেখেছে মানুষ এই দুই বছরে। দেশবাসী করোনার তিনটি ঢেউয়ের পরিস্থিতি দেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ বাদ পড়েনি এই অবস্থাতেও। এই দুই বছর রীতিমতো যুদ্ধ করা হয়েছে করোনার সাথে। মানুষের প্রাণ কেরেই ক্ষান্ত হয়নি কেড়ে নিয়েছে চাকরি, উপার্জন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই। এখনও পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসছে দেশ। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে করোনাবিধি কেন্দ্রের নির্দেশে। তাই এদিন মধ্যরাত থেকেই করোনাবিধি উঠে যাচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে নবান্ন।