ওমিক্রন স্ট্রেন টিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু(WHO) থেকে উদ্বেগজনক স্ট্রেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে তার এখনও একমাসও গড়ায়নি। এখনো পর্যন্ত ৭৭ টি দেশে এই ওমিক্রন স্ট্রেন টি অতিসংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হু এর তরফ থেকে গতকালই সে কথা জানানো হয়েছে এবং পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে আগামী একমাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বুধবার হু এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন আবারো সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন।
সৌম্যা এক সাক্ষাৎকারে জানান , যে ওমিক্রন থেকে রেহাই পেতে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের উচিত যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণ করানো । তিনি এও বলেন যে , ‘‘ এমন কোনো প্রতিষেধক নেই যারা ১০০% সুরক্ষা দিতে পারবে । কিন্তু ৮০% না হলেও ৭০% যদি সুরক্ষা দিতে পারে তাও সুরক্ষার না হওয়ার থেকে যথেষ্ট ভালো ।’’ আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি আজই বলেন, ‘‘ ওমিক্রন কে রুখে দিতে পারে মডার্ণা ও ফাইজারের বুস্টার ডোজ।’’
সৌম্যা সাথে এও বলেছেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে । পাশাপাশি পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে এবং যারা সংক্রমিত চিহ্নিত হবেন তাদের নিভৃতবাসে পাঠাতে হবে । সাথে সৌম্যা এও বলেন যে আক্রান্তদের সাথে সংস্পর্শে এসেছেন যারা তাদের চিহ্নিত করা জরুরী। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ যেহেতু ওমিক্রন আক্রান্ত এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যা তুলনায় কম, তাই প্রশাসনের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাগুলি এখন থেকেই চিহ্নিত করা এবং সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়াটা সহজ হবে ।’’ সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন যে জমায়েত এড়িয়ে চলুন। তিনি বলেন, ‘‘ কোনমতেই জমায়েতে থাকা যাবে না এবং জমায়েত করা চলবে না । কারণ এর থেকে প্রচুর পরিমাণে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে । উদাহরণ হিসেবে নর এর একটি ক্রিসমাস পার্টি তে দুজনের থেকে মোটামুটি একশো কুড়ি জন সংক্রামিত হয়েছেন ।’’
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮,৬১০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ব্রিটেনে। সেই অতিমারি থেকে এর আগে পর্যন্ত এতটা বাড়াবাড়ি কখনোই হয়নি। সাথে কেনিয়া ও এইরকম সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে । আফ্রিকা রীতিমতো ওমিক্রন সংক্রমনের ধুঁকছে কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই উপসর্গহীন সংক্রমণ । ডেনমার্কে হাজার ছাড়িয়েছে ওমিক্রন এর সংক্রমণ । ইতালিতে যারা বাইরে থেকে আসছে তাদের প্রত্যেকের নেগেটিভ রিপোর্ট আনা বাধ্যতামূলক।