উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে সামান্য গাছ থেকে আমপাড়া নিয়ে বিবাদ কে কেন্দ্র করে যুবককে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি গুলরিহা থানার ভগবানপুর গ্রামের।
আম কুড়ানো নিয়ে গ্রামে শুরু হওয়া বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে প্রাণ হারাতে হয় এক যুবককে। যুবকের স্ত্রীর অভিযোগ, তার শ্বশুর ও দেওর মিলে তার স্বামীকে খুন করেছে। খবর পেয়ে গুলরিহা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। খুন হওয়া যুবক ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তার নাম সোলাই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুবক সন্ধ্যায় বাড়ির বারান্দায় বসে দুটি আম খাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় যুবকের বাবা মোহিত নিষাদ তার ছোট ছেলে সুরেন্দ্র নিষাদকে নিয়ে এসে গাছ থেকে সব আম ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন। এই ভাবে গাছ থেকে সব আম ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে দেখে সোলাই তার বাবা ও ভাইকে তা করতে নিষেধ করে।
আম ছিঁড়তে বারণ করলে সোলাই এর ভাই ও বাবা মিলে তাকে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। আহত হওয়ার পর রাতে সোলাই বাড়িতেই ছিল এবং পরদিন সকালে মারা যায়।যুবকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্ত্রীর অভিযোগ, তার শ্বশুর ও দেওর আম পাড়া নিয়ে বিবাদ কে কেন্দ্র করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে স্বামীকে হত্যা করেছে।
মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামী ব্যাঙ্গালোরে রং ও পালিশের কাজ করেন এবং শনিবারই উপার্জিত টাকা পয়সা সাথে করে বাড়ি ফিরেছিলেন। রোববার তার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী জানান, তার তিন সন্তান রয়েছে।
গুলহিরা থানার পরিদর্শক উমেশ কুমার বাজপাই বলেছেন যে পরিবারের এই বিরোধ সংক্রান্ত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।