একেই বলে ঘোর কলিযুগ! বৃদ্ধ বাবা-মা কে বেলচা দিয়ে কুপিয়ে খুন করলো ছেলে। রাগে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল সে। কারণ বাবা মা তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছ না। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায়। যেখানে এক ছেলে তার বৃদ্ধ মা ও বাবাকে বেলচা দিয়ে কুপিয়ে খুন করলে, সেই এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভয়াবহ এই খুনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার প্রায় বারো ঘণ্টা পরে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের খবর পায় এবং পরে সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বাবা-মাকে এমন নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের পর আসামি ছেলে বর্তমানে পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় বিওয়ার থানার লোদিপুর গ্রামের। যেখানে বৃদ্ধা ৬৯ বছর বয়সী লালু সিং এবং তার স্ত্রী মায়া দেবী বাস করতেন। তাদের বেলচা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হল। আর এই হত্যাকাণ্ড কোন বাইরের কেউ বা অপরিচিত কেউ ঘটায়নি, ঘটিয়েছে তার নিজের ছেলে শ্যামু সিং।
মৃত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার স্বজনদের এই বিষয়ে জানিয়েছে, খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত শ্যাম সিং গত বেশ কিছুদিন ধরেই বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিলেন। এবং নিজের পিতা মাতাকে এই বিষয়ে জোরাজুরি করেছিলেন। প্রসঙ্গত মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না পুরোপুরি। কিছুটা বিপর্যস্ত ছিল সে। বিয়ে করতে চেয়ে মাঝেমধ্যেই বাবা-মার সাথে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট করত শ্যাম সিং। এরপরে ৬ই মার্চ গভীর রাতে শ্যামু বেলচা দিয়ে বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গভীর রাতে বিওয়ার থানা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের খবর পায় পুলিশ, এরপর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরাও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিষয়টি তদন্ত করে আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে বিওয়ার থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
একই সময়ে, এই বিষয়ে, এসপি অনুপ কুমার বলেন, খুনের অভিযুক্ত কে ধরতে একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে। তবে এই সামান্য বিষয় নিয়ে ছেলের এমনভাবে বাবা-মাকে খুন করার ঘটনায় সকলেই স্তম্ভিত। প্রত্যেকেরই একই কথা একেই বোধহয় বলে ঘোর কলি।