Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং বিনোদন

বিভিন্ন সময় যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন যে সমস্ত তারকা ক্রিকেটার

কথায় বলে জেন্টালম্যান গেম বা ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট। কিন্তু এমন কিছু কুকীর্তিতে মাঝে মাঝে ক্রিকেটারদের নামও জড়িয়েছে যাতে নিজেদের তো বটেই ক্রিকেটেরও মানহানি হয়েছে। বিশেষ করে যৌন কেলেঙ্কারি সহ নারী ঘটিত নানান অভিযোগ ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বারবার উঠেছে। যা ক্রিকেটের গৌরবকে কলঙ্কিত করেছে। আবার মিথ্যে অভিযোগও অনেকের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরব এমন কিছু ক্রিকেটারদের কথা যাদের নাম যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল।

Some Cricketers are involved in sexual abuse

শেন ওয়ার্ন : সব থেকে বেশিবার ওঠে এসেছে ক্রিকেটারদের যৌন কেলেঙ্কারি বিতর্কে শেন ওয়ার্নের নাম। ২০০০ সাল তখন। ওয়ার্ন স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া দলের ডেপুটি ছিলেন। ব্রিটিশ নার্স ডোনা রাইটকে পাঠানো ওয়ার্নের যৌন উত্তেজনামূলক ফোনবার্তা ফাঁস হয় সেই সময়ে। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয় বিশ্বব্যাপি। এছাড়াও দুজন যৌন কর্মীর সঙ্গে লন্ডনের একটি হোটেলে লেগস্পিনার ওয়ার্ন একসঙ্গে রাত কাটান।

কেভিন পিটারসন : ইংল্যান্ড এর দুর্ধশ্ব ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের অন্যতম ভরসা এক সময়ের। একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী ভ্যানিসা নিমোর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ভ্যানিসা জানিয়ে ছিলেন, কেপি নাকি তাকে জোর করতেন দিনের মধ্যে বহুবার যৌনমিলনের জন্য।

মাইক গ্যাটিং : তিনি ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট ক্যাপ্টেন। হোটেলের ঘরে লুইস শিপম্যান নামে এক মহিলার সঙ্গে অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল গ্যাটিংকে। যদিও এই ইংল্যান্ড অধিনায়ক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই খবর অস্বীকার করেন। লুইস একজন মদ বিক্রেতা ছিলেন।

ডারেল টাফি : ফোন এবং ক্রিকেটার। দুটি যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত একে অন্যের সঙ্গে। একাধিক ক্রিকেটারের নাম ফোন বিতর্কে উঠে এসেছে। ডারেল টাফি তেমনই একজন নিউজিল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার। তার সেক্স ভিডিও ফাঁস হয় ২০০৫ সালে ২৩ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে। যদিও পরে ওই মহিলা দাবি করেন টাফিকে চেনেন না বলেই। তবে ডারেল টাফি অস্বীকার করেছেন সব ।

সাকলাইন মোস্তাক : ঘটনা ১৯৯৮ সালের। পাকিস্তানের ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছে। দলের সঙ্গে নির্ভরযোগ্য বোলার সাকলাইন মোস্তাক ছিলেন। সেই সময়ে তার যৌন কেলেঙ্কারির ছবি প্রকাশ্যে আসে ওখানকার বিখ্যাত এক স্ট্রিপ ক্লাবে। সেখানে মারপিটও হয় দুজনের কয়েক জনের সঙ্গে।

শহিদ আফ্রিদি : ২০০০ সালে এক ঝাঁক তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় আফ্রিদিকে করাচির এক হোটেলে । আরও কয়েকজন পাক ক্রিকেটার তার সঙ্গে ছিলেন। যদিও আফ্রিদিদের পরে বক্তব্য ছিল যে, তাদের অটোগ্রাফ নিতে করাচির হোটেলে মেয়েরা এসেছিল। এরপরই এই কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে।

মহম্মদ শামি : মহম্মদ শামি যৌন কেলেঙ্কারির তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। শামির স্ত্রী হাসিন জাহানের অভিযোগ, একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে শামির সঙ্গে। হাসিনের দাবি, তার ওপরে অত্যাচারও চালিয়েছেন এ নিয়ে বলতে গেলে ভারতীয় ওই ক্রিকেটার।

ক্রিস গেইল : একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে ক্যারেবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধেও। ২০১২ সালের টি২০ বিশ্বকাপের সময় তিন জন ব্রিটিশ মহিলার সঙ্গে হাতানাতে ধরা হয়েছিল ক্রিস গেইলকে হোটেলের ঘরে। খুব বিতর্ক হয়েছিল যা নিয়ে। এছাড়াও গেইলের বিরুদ্ধে মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

Related posts

সিনেমার মতন বিয়ে করতে বাড়ি থেকে পালালো নাবালক যুগল! স্টেশনে পৌঁছাতেই পড়লো বিপাকে

News Desk

তারা নাকি শ্রীকৃষ্ণের বংশধর! তাই আজও ভারতের এই গ্রামে দুধ বিক্রী করা মহাপাপ

News Desk

ডিভোর্স দেননি স্বামী! তাই স্বামীকে প্রাণে মারতে নিজের যৌনাঙ্গে বিষ মাখালেন স্ত্রী

News Desk