আজকাল বেশিরভাগ বাড়িতেই মাইক্রোওয়েভ থাকে। মানুষ খাবার গরম করা থেকে রান্না করা পর্যন্ত বেশিরভাগ কাজেই মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে। এটা ঠিক যে মাইক্রোওয়েভে খাবার যেভাবে কম সময়ে গরম করা হয়, একই সময়ে গ্যাসে গরম করা যায় না। কেক থেকে শুরু করে কুকিসহ আরও অনেক জিনিসই মাইক্রোওয়েভে দ্রুত তৈরি হয়, কিন্তু মাইক্রোওয়েভের সুবিধার চেয়ে অসুবিধাও বেশি। মাইক্রোওয়েভে রান্না করতে কম সময় এবং পরিশ্রম লাগে, তবে মনে রাখবেন এক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যের সমঝোতা হচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে শিশুর জন্মগত রোগ হতে পারে।
মাইক্রোওয়েভ ক্ষতিকর কেন?
মাইক্রোওয়েভে খাবার রান্না করা বা গরম করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চ বিকিরণে মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা হয়। এতে খাবারের পুষ্টিকর উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে খাবারে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মাইক্রোওয়েভ ক্ষতিকর কেন?
গর্ভাবস্থায় মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি শিশুর বিকাশকে প্রভাবিত করে। এ কারণে নানা ধরনের জন্মগত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে শিশুর অক্ষমতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। একই সঙ্গে মাইক্রোওয়েভে গরম করা মায়ের দুধও শিশুকে দেওয়া উচিত নয়।
মাইক্রোওয়েভ রোগ
১) গরম খাবার বা মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার খেলে আপনি দ্রুত ত্বকে বলিরেখা দেখতে পেতে পারেন এবং বার্ধক্য দেখা দিতে শুরু করে।
২) মাইক্রোওয়েভে তৈরি খাবার খেলে হজমের সমস্যা শুরু হয়।
৩) এর কারণে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে।
৪) মাইক্রোওয়েভের প্রভাব আপনার চোখকেও প্রভাবিত করে, এতে ছানি পড়তে পারে।
৫) গরম ডাল, দুধ এবং প্লাস্টিকে রাখা খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
৬) মাইক্রোওয়েভের উচ্চ তাপমাত্রায় ভিটামিন B-12 নষ্ট হয়ে যায়।
৭) মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার হার্ট এবং কোলেস্টেরল রোগীদের জন্যও বিপজ্জনক।
৮) মাইক্রোওয়েভ মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে। এটি স্মৃতিশক্তি, চিন্তা করার ক্ষমতা এবং একাগ্রতাকে প্রভাবিত করে।