০২১ এর ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গের নতুন বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী৷
আজ কলকাতায় ভারতীয় জনতা পার্টির পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷ কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ৷ বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হলেও এবারের ভোটের হাই ভোল্টেজ সেন্টার নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিরোধী দলনেতা হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
২০২১ এ নন্দীগ্রাম বিজেপি তৃণমূল উভয়ের কাছেই ছিল ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। দাদা বনাম দিদির নির্বাচনী দৈরথের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে যখন বিজেপির ভরাডুবি হয়েছিল, তখন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর খোদ তৃনমূল সুপ্রিমো কে হারিয়ে জয়ে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের, মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দের। আর এই জয়ের ‘উপহার’ স্বরূপই শুভেন্দু অধিকারীর হাতে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো বলে মনে করছে রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। রবিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘দলীয় বিধায়কদের সম্মতি ক্রমেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচিন করা হবে।’ সেই মতোই সোমবারই বিজেপির তরফে নাম ঘোষণা হলো শুভেন্দু অধিকারীর।
শুভেন্দু না মুকুল কে হবেন বিরোধী দলনেতা সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল। ঘটনাক্রমে গত সপ্তাহে শপথ নিতে গিয়ে মুকুল রায়ের নিরব থাকা, তৃণমূলের সুব্রত বক্সীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়িয়েছিল। সেই জল্পনার অবসান অবশ্য মুকুল রায় নিজেই পরদিন করে দিয়েছিলেন তার টুইটার অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমেই। তিনি জানিয়েছিলেন তিনি বিজেপির একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ অবিচল।
এইদিন বৈঠকে যোগদানের আগেই মুকুল রায় স্পষ্ট করে দেন, বয়সজনিত কারণেই তিনি বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালনে আগ্রহী নন৷
বৈঠকেও মুকুল রায় নিজেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাবনা করেন৷ তাতে সম্মতি প্রকাশ করে বাদবাকি বিধায়করা৷