রাজস্থানের করৌলিতে, এক ব্যক্তি তার দোকানে মূর্তি বিক্রি না হওয়ায় অন্যান্য দোকানের সামনে ভগবান গণেশের ভাঙা মূর্তি রেখেছিলেন। শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে দোকানের মালিককে আটক করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার বিষয়ে করৌলি থানার অফিসার ডাঃ উদয়ভান জানান, 18-19-20 সেপ্টেম্বর রাতে সদর বাজারের গলিতে বন্ধ দোকানের সামনে গণেশ জি, লক্ষ্মীজির পুরানো খণ্ডিত মূর্তিগুলি রাখা হয়েছিল। যা আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
এ ঘটনা নিয়ে মানুষ নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়। নগরীতে এ ধরনের ঘটনার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এসপি নারায়ণ টংগাস বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দুর্বৃত্তকে ধরতে একটি দল গঠন করেন।
ডিএসপি মানরাজ মীনার তত্ত্বাবধানে এসপি নারায়ণ টংগাস এসএইচও ডাঃ উদয়নন, সিটি ফাঁড়ির ইনচার্জ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একটি দল গঠন করেন।
এ সময় তথ্যদাতার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সীতাবাড়িতে প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রিকারী ২২ বছর বয়সী সন্দেহভাজন কানহা ওরফে বিনোদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযুক্তদের দোকানে খেলনা ও প্রতিমা বিক্রি কম ছিল। তার দোকানের সামনে সীতাবাড়িতে অনেক প্রতিমার দোকান রয়েছে, যেগুলোতে বিক্রি বেশি হয়। এই শত্রুতার জেরে অভিযুক্ত গনেশজি, লক্ষ্মীজির পুরনো ভাঙা মূর্তি দোকানের সামনে রেখে দেয় যাতে অশান্তি ২-৪ দিন থাকে এবং অন্য দোকানে বিক্রি কম হয়।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও শহরের শান্তি বিঘ্নিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত দোকানদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।করৌলি কোতোয়ালি থানার অফিসার ডাঃ উদয় ভান জানান যে 18-19 সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত বিনোদ ভাঙা মূর্তিগুলি দোকানের সামনে রেখেছিল যেগুলির বিক্রি বেশি ছিল। এতে তার দোকানের প্রতিমার বিক্রি বাড়বে বলে অভিযুক্তের ধারণা।