ঝাড়খণ্ডের পালামুতে ২২ বছর বয়সী এক বিবাহিত মহিলাকে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই আসামিকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মহিলার স্বামীর অভিযোগ পাওয়ার পর, সাতবারওয়া থানার ইনচার্জ ঋষিকেশ কুমার রাই মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে এমএমসিএইচ মেদিনীনগরে পাঠিয়েছেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা, যারা জেলার সাতবারওয়া থানায় পৌঁছেছে, তারা জানিয়েছে যে গত শনিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়ার পর ওই নারী পায়ে হেঁটে মামার বাড়ি চলে যান। সন্ধ্যায় লোকজন এসে তাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললেও রাজি হননি।
এরপর অভিভাবকরা তাকে বোঝানোর পর জামাইসহ মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে নির্যাতিতার স্বামী তার পিসতুতো ভাইকেও সঙ্গ দিতে ডাকে। দুজনেই মহিলাকে বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছিল।
তারা ভালুয়াহি উপত্যকার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় ছয়জন তাদের মোবাইল ও বাইক ছিনিয়ে নেয় এবং তিনজনকে মারধর করে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এ সময় নির্যাতিতার স্বামীকে জিম্মি করে রাখা হয়।
এর পর অভিযুক্তরা নির্যাতিতার স্বামীকে সেখানে রেখে যায় এবং তারপর ওই মহিলাসহ অন্য ব্যক্তিকে বাইকে করে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে থাকে।
গাড়ি দেখে আওয়াজ করলেন মহিলা
এদিকে মানিকা থানার সাধওয়াদিহ গ্রামে একটি গাড়ি দেখে চিৎকার শুরু করেন ওই মহিলা। এ কারণে বাইকটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। শোরগোল শুনে গ্রামবাসী জড়ো হয়।
গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ধরে মারধর করে। অপরদিকে অপর আসামিরাও ওই নারীর স্বামীকে জিম্মি করে পালিয়ে যায়। পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে রাতেই নির্যাতিতার স্বামী থানায় পৌঁছে ঘটনার বর্ণনা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, নির্যাতিতার অবস্থা খুবই খারাপ। সে ভীষণ আতঙ্কিত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একটি বাইক উদ্ধার করেছে সাতবারোয়া থানার পুলিশ। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।