উত্তর প্রদেশের বান্দায় বিদ্যুৎ বিভাগ দপ্তরে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এখানে কর্মরত এক নারী সেখানকার কন্ট্রাক্ট কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে কর্মরত সহযোগী সহকারী প্রকৌশলী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, অফিসেও রুম বন্ধ করে অশ্লীল আচরণ করেছেন।
বান্দায় বিদ্যুত বিভাগের এই ইঞ্জিনিয়ারের অশ্লীল আচরণে বিরক্ত হয়ে সেই মহিলা চুক্তিবদ্ধ কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। ভিকটিম কন্ট্রাক্ট কম্পিউটার অপারেটরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করেছে। বিষয়টি নগরীর কোতোয়ালি এলাকার।
নির্যাতিতা মেয়েটির অভিযোগ, “আমি বান্দার বাসিন্দা। আমি বান্দায় বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশল নবীন কুমারের অফিসে কন্ট্রাকচুয়াল কম্পিউটার অপারেটর ছিলাম। সে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। সে আমাকে তার বাড়িতে ডেকে আনত। রুমে নোংরা কাজ করতো। অফিসেও আমার সাথে রুমে তালা লাগিয়ে নোংরা কাজ করতো। আমি নবীন কুমারের উপর খুব বিরক্ত ছিলাম।”
ভুক্তভোগী মেয়েটি আরও বলেন, “এ কারণেই আমি বিদ্যুৎ বিভাগে চুক্তিবদ্ধ কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এর পরেও নবীন কুমার তাকে নোংরা মেসেজ, ছবি পাঠায়। এমনকি ফোনেও সে নোংরা কথা বলে। আমি আমার বাবা-মাকে বিষয়টি জানিয়েছি। বাবাকে বলেছি এবং থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।আমি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি, প্রয়োজনে আমি লখনউ গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাব।”
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সহকারী প্রকৌশলী:
মামলায় অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী নবীন কুমারের সঙ্গে কথা হয় কিছু সংবাদ মাধ্যমের। সূত্র অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি বিবাহিত। মেয়েটি আমাকে জোর করে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। আমার বদলিও মহোবায় করা হয়েছে। অতীতেও এ ধরনের কাজ এই মেয়েটি করেছে।” বান্দার এএসপি লক্ষ্মী নিবাস মিশ্র বলেন, “মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে যা প্রমাণ পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”