যতই আলো থাক তার সাথে সেই আলোর অন্ধকারও থাকবে, যেমন আলো থাকে তেমন ছায়াও থাকে। ঠিক তেমনই এতো আলোয় আলোকিত কলকাতায় ঝা চকচকে বিউটি পার্লার আর স্পায়ের আড়ালে অন্ধকার জেঁকে বসেছে মধুচক্রের। দেহব্যবসা দিবালোকেই রমরমিয়ে চলতো। কিন্তু শেষমেশ তীরে এসে তরী ডুবলো। এই জনপ্রিয় স্পাতে চলতে থাকা মধুচক্রের মূল পান্ডাকে ধরলো পুলিশ। খবরটি সংবাদ প্রতিদিনের।
বিউটি পার্লার খুলেছিলেন এক মহিলা হেয়ার স্ট্রিট থানা চত্বরে অভিজাত এলাকায়। এক ব্যক্তিও সঙ্গী ছিল। পার্লার সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবার পাশাপাশি স্পা, মাসাজেরও বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকত রঙচঙে পোস্টারে। দামী দামী গাড়ি ভিড় জমত পার্লারের বাইরে দিন-রাত। কিন্তু এই পার্লারের আড়ালেই যে রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে তা প্রথমদিকে ঘুণাক্ষরেও আঁচ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই পার্লারের শাখা খুলেছিল ওই দুজন শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
কিন্তু, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে কথাতেই আছে। পুলিশের কানে পার্লারের আড়ালে মধুচক্রের কথা পৌঁছে গিয়েছিল। তারা তক্কে তক্কে ছিল। শেষপর্যন্ত হেয়ারস্ট্রিট থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ মঙ্গলবার রাতে। হাতেনাতে পর্দা ফাঁস হয়ে গেল। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার করা হয় পার্লারের মালিক বাণী পাত্র, সুরেন্দ্র গোপাল-সহ মহম্মদ আরিফ নামে এক কর্মচারীকে। এক কাস্টমারও গ্রেপ্তার হয়েছিল।
বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ধৃতদের তোলা হয়। ধৃত কাস্টমার জামিন পেয়ে গিয়েছে। বাকিদের বিচারক দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিউটি পার্লার ও স্পা-র নাম করে মধুচক্রের আসর বসার অভিযোগ আসছি বেশ কয়েকদিন ধরেইল। পুলিশ তার ভিত্তিতে অভিযান চালায়। ধৃতরা এই ব্যবসার জাল বিছিয়েছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বলে জানিয়েছে পুলিশ।