উত্তর ভারতের শাহদরা জেলার সীমাপুরীতে অবস্থিত একটি বাড়িতে যৌন কারবারের চক্র ফাঁস করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এক যুবক সমেত চার নারীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন প্রিন্স (বয়স ২০ বছর), গ্যাং লিডার ৩৮ বছর বয়সী এক মহিলা এবং ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে তিনটি মেয়ে। এই সেক্স র্যাকেট কে ধরতে পুলিশ নিজেরাই ভুয়ো খদ্দের সেজে ফাঁদ পাতে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে অভিযুক্তরা কত দিন ধরে এই র্যাকেটের সঙ্গে জড়িত ছিল।
শাহদরা জেলার উপ-পুলিশ কমিশনার আর. সত্যসুন্দরম জানান, রবিবার জেলার বিশেষ কর্মীরা খবর পান যে সীমাপুরীর B-84/4 দিলশাদ কলোনির বাড়িতে যৌন কারবারের অবৈধ ব্যাবসা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে জেলা আধিকারিকরা এই তথ্য শেয়ার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেন। এরপর যৌথ একটি টিম গঠন করে দিলশাদ কলোনির বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ প্রথমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভুয়ো গ্রাহক সেজে ওই বাড়িতে পৌঁছয়। নকল গ্রাহক সেজে এক পুলিশ কর্মী সেই বাড়িতে পৌঁছে দরজায় ধাক্কা দেয়। দরজা খুলে সেখানে প্রিন্স নামে এক যুবক বের হয়। নকল খদ্দের রূপি পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলে দুই হাজারে চুক্তি করে। ভুয়ো খদ্দেরকে তারপর বাড়ির ভেতরে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ৩৮ বছর বয়সী এক মহিলার সাথে তার পরিচয় হয়। এর পর ওই নারী ছদ্মবেশী পুলিশ কর্মীর সামনে হাজির করে তিন তরুণী কে।
সেই পুলিশ কর্মী দেহ ব্যবসা চালানোর বিষয়টিকে নিশ্চিত করেই বাইরে অপেক্ষারত দলকে খবর দেন। এরপর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি তদন্ত করছে সীমাপুরী থানা পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে বাড়িতে সেক্স র্যাকেট চলছিল সেই বাড়ির মহিলার তত্ত্বাবধানে। এছাড়া দেহ ব্যবসা চালানোর জন্য অল্প বয়সী মেয়েদের নয়ডা, মুস্তাফাবাদ ও যমুনা বিহার ইত্যাদি জায়গা থেকে আনা হত। অভিযুক্ত তরুণ ২০ বছরের প্রিন্স দিলশাদ কলোনির বাসিন্দা। এর সাথে আর কেউ জড়িত কিনা তদন্ত করছে পুলিশ।