যৌনতাই হল পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো এবং সার্বজনীন সাধারণ বিষয় একটি। তবে তা সার্বজনীন হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষজন তাঁদের পারস্পরিক পরিমণ্ডল অনুযায়ী নানা ধরনের নিয়ম গড়ে নিয়েছেন।এই পৃথিবীতে নানা সব অদ্ভূত যৌন সম্বন্ধীয় বিষয় রয়েছে । আসুন আজ শোনাই আপনাদের তেমনই তিনটি নিয়ম-রীতির কথা।
আলাদা নাম নাকি যৌনাঙ্গেরও থাকে !
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের নাম তো শুনেছেন নিশ্চয় ? জানেন কি যৌনজীবনে এক নতুন নিয়ম মেনে চলেন এখানকার বাসিন্দারা । নিজেরাই নিজেদের গোপন অঙ্গের উপাসনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীরা এবং প্রত্যেকেই আলাদা একটি করে নাম রাখেন নিজেদের গোপনাঙ্গের । কিন্তু তারা শেষ করেননি শুধু সেখানেই । আদিবাসীদের মধ্যে রাজা থেকে শুরু করে সাধারণ লোক, যৌনাঙ্গ নিয়ে একটি গোপন মন্ত্র থাকে সকলেরই। এসব মন্ত্রে তাঁরা নিজেদের গোপন অঙ্গের বিবরণ দেন বেশ খোলামেলা কাব্যিক ভাষায় । পিছিয়ে নেই মহিলারাও, তাঁরাও নিজেদের যৌনাঙ্গের পালটা বর্ণনাও দেন কাব্যিক ঢঙে সেই সব গোপন মন্ত্র শুনে ।
সন্তান নেওয়ার জন্যে আলাদা দিন
বিশেষ দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয় সন্তান নেওয়ার জন্যে সরকারি তরফে! হ্যাঁ কমুনিস্ট এর উত্থান দেশ রাশিয়ায় এমনই নিয়ম চালু আছে । ১ সেপ্টেম্বর দিনটিকে গর্ভসঞ্চার দিবস ঘোষণা করেছেন মস্কোর পূর্বদিকে উলিয়ানভস্ক-এর গভর্নর । কারণ ক্রমেই কমে যাচ্ছে ওই অঞ্চলে জনসংখ্যা। তাই প্রশাসন এই অভিনব উপায় বের করেছে । সরকারের তরফেই বলে দেওয়া হয়, সকলের ছুটি ১ সেপ্টেম্বর। শুধু সন্তান উৎপাদনের জন্য সেই দিনটি দম্পতিরা বাড়িতে থাকবে । যে দম্পতির সন্তান হয় সেই দিনটি থেকে নয় মাসের মাথায় , আকর্ষণীয় উপহার তাঁদের দেওয়া হয়।
সেক্সে হ্যাঁ এদিকে সন্তানে না!
সেক্সে আগ্রহী হলেও গড়ে ১.০৫টি সন্তান হয় দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের । কিন্তু দেশের জনসংখ্যায় ভারসাম্য রাখতে সে দেশের সরকার প্রতিটি নারীর দুটি সন্তান প্রসব করা জরুরি বলে মনে করে। কিন্তু বেশিরভাগ চাকরিজীবী নারীরাই সন্তান নিতে চান না দেশটির জীবনধারনের খরচ, সন্তান পালনের ব্যয়বাহুল্য এবং দীর্ঘ কাজের সময়ের কারণে।