সমাজে জাতির মেরুদন্ড শিক্ষকরা। একজন শিক্ষক পারেন সমাজের পরিবর্তন ঘটাতে। কিন্তু বর্তমানে খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষকতার চাকুরী। বহু যুবক যুবতী অনেক বছর ধরে পড়াশুনো করতে থাকেন এই শিক্ষকতার চাকরি পেতে। গুরু বা শিক্ষক আমাদের সমাজের অনেক উঁচুস্তরের মানুষ হিসেবে সম্মানিত হন সেই বৈদিক যুগ থেকেই। একজন শিক্ষকের স্থান ঠিক মা বাবার পরেই।
বহু মানুষের আত্মিক বিকাশ ঘটাতে পারেন একজন শিক্ষক চাইলেই। সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান সময়ে অবদান অনেক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তো গৃহশিক্ষকের খোঁজও করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন কোনো না কোনো ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয়েই থাকে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে। একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সপ্তম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ের রিডিং পড়তে পারছেন না বলে দেখা যাচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের সিকান্দার পুরের ঘটনাটি। হঠাৎই জেলাশাসক দেবেন্দ্র কুমার পাণ্ডে স্কুল প্রদর্শন করতে যান সিকান্দার পুরের এক সরকারি স্কুলে। সেখানে এক ইংরেজি শিক্ষিকাকে সপ্তম শ্রেণীর ইংরেজি পাঠ্য বই থেকে রিডিং পড়তে বলেন তিনি। এক লাইন পড়তে গিয়ে সেই শিক্ষিকাকে নাকানি চোবানি খেতে দেখে জেলাশাসক অবাক হয়ে যান। সেই শিক্ষিকাকে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করেন।
বলে রাখি মাসে 70 হাজার টাকা মাইনে পেতেন এই শিক্ষিকা। জেলাশাসকের মতে যেখানে শিক্ষকতার চাকরির জন্য এত শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে চাকরি পায় কীভাবে এমন একজন! এই শিক্ষিকা জানিয়েছিলেন তিনি নাকি একজন বি.এ পাস। এবার প্রশ্ন উঠছে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। ইতিমধ্যে অনেকেই দেখেছেন এই ভিডিওটি। আপনারা যদি এখনও না দেখে থাকেন ভিডিওটি তবে দেখে নিতে পারেন।