একরত্তি শিশু। দুনিয়া সংসারের জটিলতার কোনো ধারণাই তার মনে এখনো অবধি তৈরী হয়নি। অথচ কিছুটা এমন জটিলতার কারণেই অকালে প্রাণ দিতে হলো ফুটফুটে ওই শিশুকে। সব চেয়ে হতবাক করা বিষয়টি হলো শিশুটির মর্মান্তিক পরিণতির জন্য অভিযোগের তির যার দিকে সে পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। আর একজন স্কুল শিক্ষকের এমন ভয়াবহ নৃশংসতায় হতবাক সকলেই। সমাজ গড়ার কারিগর যে এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে তা ভেবেই শিউরে উঠছেন সকলে। কিন্তু কেন ঘটালেন এমনটা। পড়ুন বিশদে…
এক বছর সাতেকের শিশুর প্রাণহীন দেহ বস্তার মধ্যে বন্দি অবস্থায় পাওয়া গেছে। ওই বছর সাতেকের শিশুকে জমিজমা সম্পর্কিত অশান্তির জেরে এই ভয়ানক ভাবে খুন করার অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায়। পুলিশ এই খুনের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে স্কুল শিক্ষক এবং আরও ২জনকে গ্রেফতার করেছে। এই শিশু হত্যা কাণ্ডে প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
রাকেশ কাহার নামের ওই সাত বছরের শিশুটির বাড়ি দেগঙ্গা এলাকার বেড়াচাঁপার সাধুখাঁ পাড়ায়। এক জঙ্গল ঘেরা পুকুর পার থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় রাকেশের প্রাণহীন নিথর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ সোমবার দিন। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী রাকেশ কিছুদিনের নিখোঁজ ছিল। বছর সাতেকের রাকেশ বাড়ির সামনেই গত ৮ই মার্চ খেলতে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। আর সেদিনের পর আজ রাকেশের মৃত শরীর উদ্ধার হল। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা আমি গাছে কীটনাশক দিতে গিয়ে ওই পাশের পুকুরে এক বস্তা ভেসে থাকতে দেখেন আর তাদের সন্দেহ হওয়ায় ওই বস্তা উদ্ধার করে পুকুর পাড়ে এনে রাকেশের প্রাণহীন শরীর উদ্ধার করেছে। আর স্থানীয়দের উপস্থিতিতেই রাকেশের দেহ তার মা শনাক্ত করেছে।
এদিন মৃতদেহ উদ্ধারের খোঁজ পেয়েই পুলিশ সেখানে ছুটে যান। সেখানে এতটাই উত্তেজনা ছড়িয়েছে যে পুলিশ ওই এলাকায় যাওয়ার পর পুলিশকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ওই নিহত রাকেশের বাবা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান, তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন যে , স্থানীয় স্কুলশিক্ষক হারান পাঁড়ুই এক জমি নিয়ে বিবাদে রাকেশ কে এভাবে খুন করেছে। পুলিস হারান পাঁড়ুই ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে এই অভিযোগের ভিত্তিতেই। অন্যদিকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।