হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) বর্তমানে বিশ্বের এমন একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মেসেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, যেখান থেকে আজ কেউই নিজেকে দূরে রাখতে পারে না। অন্যান্য সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আর মেসেঞ্জার মতো, এই বহুল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি তাদের ব্যবহারকারীদের (WhatsApp Users) নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার জন্য বেশ কিছু সুবিধা আর অভিনব ফিচারস দিয়েছে। এছাড়াও নিজেদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের রয়েছে ইমোজির সুবিধাও (WhatsApp Emoji Features)। যেটি প্রয়োগ করে যে কেউ ইমোজি ব্যবহার করে আরো ভালো ভাবে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
অনেকেই নিজের মনের ভাব সরাসরি কথায় না বলতে পারলে ইমোজি পাঠিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে। যেমন লাল রংয়ের হার্ট সাইন। লাল রঙ্গা হৃদয়ের এই চিহ্নটি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সাধারণত ভালোবাসা বোঝাতে ব্যবহার করে। কিন্তু জানেন কি? ভালোবাসার প্রতীক এই ‘হার্ট ইমোজি’ কাউকে পাঠালে গ্রেপ্তার, জেল, জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। এ কথা শুনলে যে কেউ অবাক হবেন। আসুন জেনে নিই বিষয়টা আসলে কি!
প্রশ্ন আসে হোয়াটসঅ্যাপের ‘হার্ট’ ইমোজি মধ্যে এত খারাপ কী আছে? যার কারণে একটি দেশ মানুষকে গ্রেপ্তার করে মোটা অঙ্কের জরিমানা করার পাশাপাশি জেলে পাঠাতে পর্যন্ত উদ্যত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরব (Saudi Arabia) রেড হার্ট হোয়াটসঅ্যাপ (Red Heart WhatsApp Emoji) ইমোজির জন্য একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করেছে। সেই দেশে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে এ আইন (Saudi Arabia Law for WhatsApp Red Heart Emoji) সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। কেউ যেন এই আইন লঙ্ঘন না করে সে বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।
স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই বিষয়ে বলা হয়েছে সম্প্রতি সৌদি আরবের অ্যান্টি ফ্রড অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য এই বিবৃতি দিয়েছেন, যার মতে, হোয়াটসঅ্যাপে ‘রেড হার্ট ইমোজি’ পাঠানোকে হয়রানি হিসাবে বিবেচনা করা হবে। আইনে বলা হয়েছে যে এই ইমোজির প্রাপক যদি প্রেরকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপত্তি দায়ের করেন তাহলে প্রেরকের উপর এই নতুন আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে গ্রেফতার, জেল, জরিমানা সবই ভোগ করতে হবে। অনলাইন চ্যাটের সময় পাঠানো কিছু ছবি, অভিব্যক্তি কাউকে হয়রানি হিসেবে গণ্য করা হবে। যাইহোক, এই সবই তখনই ঘটবে যখন বার্তার প্রাপক প্রেরকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ‘রেড হার্ট’ ইমোজি পাঠানোর দায়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি যদি সৌদি আরবের আইনে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তার ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এর পাশাপাশি অভিযুক্তকে এক লাখ সৌদি রিয়াল (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা) জরিমানাও করা যেতে পারে। প্রথমবার অপরাধ করার জন্য এই সবই অভিযুক্তকে বহন করতে হবে। দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে শাস্তি আরো মারাত্মক। আবার ধরা পড়লে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ৩ লাখ সৌদি রিয়াল অর্থাৎ ভারতীয় টাকায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।