রোজকার মতই ডক্টর পেশেন্ট দেখছিলেন। কিন্তু পেশেন্ট সেজে যে কে এসেছিলেন সেটা বুঝতে পারেনি। জানা গেছে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যেই রোগী সেজে ডাকাতরা ঢোকে ডাক্তারের বাড়িতে। রোগী হিসেবে আসা দুর্বৃত্তরা চিকিৎসকের পরিবারকে বন্দী করে বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের দাতিয়ার। এখানে ডাক্তার গুলশান নিজের বাড়িতে ক্লিনিক চালান। যেখানে রোগী হিসেবে আসা দুর্বৃত্তরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গুলশান সিন্ধির দাতিয়া কোতয়ালী থানা এলাকার আমান কলোনীর কাছে বাড়িতে একটি ক্লিনিক চালান ডাক্তার। প্রতিদিনের মতো সোমবারও গুলশানে রোগী দেখছিলেন তিনি। গভীর রাতে এক দুর্বৃত্ত চিকিৎসক রোগী হিসেবে গুলশানের চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে নিজের অসুস্থতার কথা বলতে থাকেন।
ওই চিকিৎসক দুর্বৃত্তকে রোগী হিসেবে নিয়ে ক্লিনিকে ডেকে নেন। চিকিৎসক যখন দুষ্কৃতীকে দেখছিলেন, তখন আরও ৬ জন দুর্বৃত্ত ক্লিনিকে ঢুকে পড়ে। যেখানে দুই দুর্বৃত্তের হাতে ছুরি ও ধারালো অস্ত্র ছিল।
অস্ত্র উচিয়ে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। ঘরে রাখা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়। এসময় চিকিৎসকের বাড়ির দরজা কেউ ধাক্কা দিলে বাড়ির পেছনের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর গুলশান সিন্ধি পুলিশকে খবর দেন। ডাক্তার পুলিশকে জানান, তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা, গয়না ও সাড়ে তিন লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আশেপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ ৭ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা করেছে।