অল্প বয়সীদের মধ্যে বাড়ছে নীল ছবির অতিরিক্ত প্রভাব। সমীক্ষায় সামনে এল এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মুম্বাইতে পড়াশুনা করছে এমন ১৬ বছর থেকে ২২ বছর বয়সী ছাত্রদের মধ্যে পর্নোগ্রাফির প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে। রেসকিউ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং চ্যারিটেবল ট্রাস্টের (বেসরকারি সংস্থা) তত্ত্বাবধানে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল পর্নোগ্রাফি ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সী কলেজগামী শিশুদের কীভাবে প্রভাবিত করে তা খুঁজে বের করা।
এই সমীক্ষা চালাতে গিয়ে কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে..
- ৩৩ শতাংশ ছেলে এবং ২৪ শতাংশ মেয়ে সেক্সটিং-এ আসক্ত।
- বহুল সংখ্যক কলেজের ছেলেরা প্রতিদিন তাদের ফোন এবং কম্পিউটারে ধর্ষণ সম্পর্কিত ভিডিও দেখে।
- প্রায় ৬০ শতাংশ ছেলে বলেছেন যে তারা পর্ন ভিডিও দেখার পরে এসকর্ট পরিষেবাও ব্যবহার করে। এর পেছনে কি কারণ? এর কারণ এই যে বেশিরভাগ পর্ণ সাইটে এমন নম্বর দেওয়া রয়েছে যেখান থেকে এসকর্ট সার্ভিস ব্যবহার করা যেতে পারে।
- শতাংশ যুবক চাইল্ড পর্ন -এ আসক্ত। যা ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানব পাচারকে ঘটনা আরো বাড়াচ্ছে।
- এই সমীক্ষা থেকে আরেকটি বিষয় যা বেরিয়ে এসেছে তা হল প্রায় ১০ শতাংশ কলেজগামী মেয়ে পর্নোগ্রাফির কারণে গর্ভপাত করায়।
কিভাবে এর থেকে সমাজকে বাঁচানো যায়:
- কলেজ পর্যায়ে পাঠ্যক্রম অনুসারে সাইবার এথিক্সের প্রয়োজনীয়তা।
- পর্ণ ব্লকিং সিস্টেমকে শক্তিশালী করা, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা ফায়ারওয়াল ভেঙে ফেলে।
- কঠোর আইনের প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত মনোবিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে পর্নোগ্রাফি এমন একটি রোগ যা একজন ব্যক্তির প্রতি সহিংসতাকে প্ররোচিত করে, যা কখনও কখনও ধর্ষণ বা মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হলে বাড়ির লোকজনের শিশুদের প্রতি আরও নজর দিতে হবে। এর কারণ হল শিশু যখন বেশির ভাগ সময় একা থাকে, তখন সে তার সময় কাটানোর জন্য এই ধরনের জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়।