আপনি কি আপনার সঙ্গীর সাথে নিয়মিত যৌন সঙ্গমে অভ্যস্ত। তাহলে মিলতে পারে সুফল। কেন? পরে নিন তাহলে।
এই মর্মে কোনও পরামর্শ কি পেয়েছেন এখনও? কখনও কি এই কথা বলেছেন আপনার ডাক্তার? বলেননি নিশ্চয়!
তা হলে ভেবে দেখতে পারেন, আপনার ডাক্তার বদলে ফেলবেন কি না এই টেলিমেডিসিনের যুগে। সুদূর অ্যারিজোনাবাসী ডাক্তার ফেথ কোটস এই পরামর্শ দিচ্ছেন জোরের সঙ্গে কিন্তু। আত্মবিশ্বাসী ডাক্তার তাঁর পরামর্শ চেম্বারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ইন্টারনেটে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
কোটস একটি টিকটক ভিডিয়ো তৈরি করেছেন। তাঁর ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ফলোয়ারের কাছে সেখানেই খোলসা করেছেন এই তথ্য। আসলে এক ভক্ত তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘সত্যি না মিথ্যা: অর্গ্যাজম আমাদের শরীর খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করে?’
এর জবাবে ডক্টর কোটস একটি ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করেন টিকটকে। বলেন, ‘সত্যি! ইমিউন সিস্টেম ৩০ শতাংশ ভালো কাজ করে সপ্তাহে অন্তত এক-দু’বার যৌন সংসর্গ করলে। বলবেন, এটা ডাক্তারের নির্দেশ।’
কোটস যা বলছেন, তা মুখের কথা নয় নিছক। বিভিন্ন জার্নালে বারেবারে নানা রকম গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে । সেগুলিতে দেখা গিয়েছে সেক্স বা স্বাস্থ্যকর যৌন সম্পর্ক নানা ভাবে উপকার করে অনেক সময়েই। কখনও ইমিউনিটি বাড়ানো তো, কখনও হার্ট ভালো রাখা, কখনও মন ভালো রাখা স্রেফ দুশ্চিন্তা কমিয়ে।
২০০৪ সালের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, সপ্তাহে বার দুয়েক সেক্স করলে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’ বাড়ে শরীরে । এটি এক ধরনের অ্যান্টিবডি যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে লালাগ্রন্থি, নাক, যোনি—ইত্যাদি জায়গার মিউকাস টিস্যুতে থেকে। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে এই গবেষণা আর একবারও ‘রিপিট’ করা হয়নি এত বছরে।
তবে সেক্সের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে একাধিক হার্টের স্বাস্থ্যের সঙ্গে। যেমন ২০১৫ সালে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয় আমেরিকান জার্নাল অফ কার্ডিওলজিতে। যেখানে বলা হয়েছিল, যে সব পুরুষ সপ্তাহে দুই বা তার বেশিবার সেক্স করে, তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কম। কাদের তুলনায় কম? না যারা মাসে একবার সেক্স করেন, তাদের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কম।