যে কোনও মুহূর্তে সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। আজকাল বেশিরভাগ যুগল এমনই এক ভয়েই দিন কাটান! সম্পর্কে সর্বত্রই যেন চোখে পড়ে বিশ্বাসের অভাব। কিন্তু কথায় আছে সব সম্ভব ভালবাসা থাকলে। আর তাই ইউক্রেনের (Ukraine) এক যুগল নিজেদের ভালবাসার পরীক্ষা করে নিতে চেয়েছিলেন । একটানা ১২৩ দিন একসঙ্গে থাকার পণও করেছিলেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে । তাঁরা একসঙ্গে জীবন কাটাতে পারেন কি না দেখতে চেয়েছিলেন! সেজন্য দুজনের একই হাতকড়ায় হাত বাঁধা হয়েছিল। যদিও আর হল না শেষরক্ষা। পণ যেদিন ভাঙার কথা দুজনে আলাদা হওয়ার কথা জানান সেদিন হাতকড়া খুলতেই। হ্যাঁ, এটাই সত্যি শুনতে অবাক লাগলেও। যা জানার পর মন খারাপ তাঁদের ফলোয়ারদেরও। যদিও ওই যুগল নিজেদের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে,দুজনেই খারকিভের বাসিন্দা ভিক্টোরিয়া পুসতোভিতোভা (২৯) এবং আলেকজান্ডার কাডলে (৩৩) । চলতি বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে একসঙ্গে থাকার পণ করে হাতকড়টি পরেন কিয়েভের ইউনিটি মনুমেন্টের সামনে দুজনে। ঠিক করেন একসঙ্গে থাকবেন আগামী ১২৩ দিন । অর্থাৎ যেকোনও কাজ একসঙ্গেই করবেন স্নান-খাওয়া, রান্না। নিজেদের ভালবাসার পরীক্ষা নেবেন । রীতিমতো সেলিব্রিটি বনে যান তাঁরা, তাঁদের এই পদক্ষেপের খবর সামনে আসতেই । সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারও বাড়তে থাকে হু হু করে। ১২৩ দিন পর কী পদক্ষেপ করেন ওই যুগল? অনেকে সেই নিয়েও উৎসুক হতে থাকেন।
যদিও ভিক্টোরিয়া এবং আলেকজান্ডারের ভক্তদের আশাহতই হতে হল শেষপর্যন্ত। জানা গিয়েছে, বড় কাটার দিয়ে দুজনের হাতের বাঁধন খোলা হয় কিয়েভের ওই ইউনিটি মনুমেন্টের সামনেই। আর সেটা করতেই ভিক্টোরিয়া আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। এরপর, তাঁরা আর একসঙ্গে থাকবেন না ওই যুবক-যুবতী দু’জনেই জানান। বিচ্ছেদ তাঁদের হচ্ছেই। ভিক্টোরিয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি স্বাধীন জীবনযাপনই করতেই চাই। একজন স্বাধীন মানুষ হিসেবেই এগিয়ে যেতে চাই। শেষপর্যন্ত বন্ধন মুক্ত হয়ে ভালই লাগছে।”