ভারতবর্ষে যতই সচেতনতার প্রচার চালানো হোক না কেন ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ যেন কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না। তার উপরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ধমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে তাই অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতিতা লোকলজ্জার ভয়ে তার পরিবার বা পুলিশকে অপরাধের বিষয়ে জানাচ্ছেও না। আবারো সামনে এলো এমনই এক মর্মান্তিক খবর। যেখানে জোর করে এক নাবালিকাকে নিজেদের বিকৃত যৌন লালসার শিকার বানায় তিন যুবক। এরপরে তাকে হুমকি দেওয়া হয় মুখ বন্ধ রাখার জন্য। ঘটনায় ভয় পেয়ে কাউকে কিছু জানায়নি নাবালিকা। এদিকে তার বাড়িতে এক সদস্যের ফোনে পৌঁছে যায় এই ঘটনার অশ্লীল ভিডিও। তারপরেই তৎপর হয় বাড়ির লোক।
উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে গণধর্ষণ এর মত ঘৃণ্য অপরাধ ঘটানোয় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করার পর আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ চরথাভাল থানায় গণধর্ষণের এই অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশকে অভিযোগে বলা হয়েছিল যে 26 মার্চ বিকেলে নাবালিকা মেয়েটি বাড়ির আবর্জনা ফেলতে গ্রামের বাইরে গিয়েছিল। এসময় তিন যুবক তার মেয়েকে জোর করে আখের ক্ষেতে নিয়ে যায়। যেখানে তিন যুবক পালাক্রমে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এবং এই সম্পূর্ন কুকর্মের একটি অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে যুবকরা নির্যাতিতা মেয়েটিকে হুমকি দিয়েছে এবং বলেছে যে সে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বললে বা অন্য কাউকে জানালে তারা তার অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে।
নির্যাতিতার বাবা তার লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তার মেয়ের অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে এবং তার ভাইপোর মোবাইলেও ভিডিওটি এলে তিনি ঘটনাটি জানতে পারেন।
এরপরই নির্যাতিতার বাবা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ভুক্তভোগী মেয়েটির চিকিৎসা চলাকালীনই পুলিশ 376D, 506, 3/4 POCSO আইন এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি আইনের ধারায় এই ঘটনায় একটি মামলা নথিভুক্ত করার পরে তিন অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠিয়েছে।