চুরুর রতনগড়ে বিয়ের ছয় দিন অতিবাহিত হতে না হতেই স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালায় কনে। সকালে স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে তার পায়ের তলার মাটি সরে যায়। গয়না ও নগদ টাকাও সে সাথে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় প্রতারিত স্বামী থানায় অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী স্বামী পুলিশকে নববধূর একটি ভিডিওও দেখিয়েছিলেন যাতে তাকে তার শ্বশুর বাড়িতে আসার পর নাচতে দেখা যায়।
বিয়ের ছয় দিন পর একদিন সকালে স্বামী সকালে উঠে দেখেন স্ত্রী নিখোঁজ। সাথে দেখেন, ঘরে রাখা সোনা-রূপার গয়না ও নগদ টাকা নেই। অপ্রীতিকর কিছুর আশঙ্কা থাকায় পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন ধরে কনেকে খুঁজলেও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। ক্লান্ত হয়ে ভুক্তভোগী স্বামী পুলিশের কাছে গিয়ে বধূসহ দুইজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী এসআই মানকলালের মতে, রতনগড়ের বাসিন্দা নবরতন শঙ্খলা জানিয়েছেন যে গত ৭ই আগস্ট তিনি চুরুতে তার আত্মীয়দের বাড়িতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি ঘন্টালের বাসিন্দা কালুর সাথে গল্প করছিলেন। কালু তাকে বিয়ের সম্বন্ধ এনে দেওয়ার পারিশ্রমিক হিসেবে দুই লাখ টাকা নেওয়ার কথা বলে। ১৫ই আগস্ট বিকেলে কালু গাড়ি নিয়ে নবরতনের বাড়িতে আসে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি একটি দরিদ্র পরিবারকে চেনেন, যারা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে চাইছেন কিন্তু টাকা নেই। পরিবার গরীব, তাই বিয়ের খরচ তোমাকেই দিতে হবে।
১৮ আগস্ট সকালে তিনি সবাইকে নিয়ে একটি বাড়িতে যান। কালু মেয়েটিকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং তার নাম বলে প্রিয়াঙ্কা চৌহান (বয়স ২৮)। মেয়েটির কাছে বিয়ের জন্য সম্মতি চাওয়া হলে সে রাজি হয়ে যায় এবং বলে যে ছেলেটিকে পছন্দ করেছে। তারপর সবাই কোর্টে গিয়ে বিয়ে করিয়ে নেয়। ১৯ আগস্ট ভোর ৪টার দিকে প্রিয়াঙ্কা চৌহানকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে স্বামী।
ভিকটিম স্বামী পুলিশকে কনের একটি ভিডিওও দেখিয়েছেন যাতে তাকে নাচতে দেখা যায়।
আধার কার্ড নম্বরও জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে
ভিকটিম নবরতন জানান, প্রিয়াঙ্কা চৌহান পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি যারা সম্বন্ধ করেছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর বলল আমাদের কাজ বিয়ে দেওয়া। আমাদের কোন গ্যারান্টি নেই যে পাত্রী টিকে থাকবে বা থাকবে না। এ ছাড়া নির্যাতিত ব্যাক্তি যখন ঠগবাজ কনের আধার কার্ড পুলিশ কে দেয়, তখন জানা যায় তার আধার কার্ড নম্বরটিও জাল।