করোনা আবহে প্রায় দুই মাস বন্ধ লোকাল ট্রেন। তবে লোকাল ট্রেন না চললেও রেল কর্মী এবং জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের কথা মাথায় রেখে চলছিল স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। কিন্তু তাতে প্রবেশাধিকার ছিল না সাধারণ জনতার। মিলছিল না টিকিটও। শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদেরই মিলছিল মন্থলি (monthly) নির্দিষ্ট পরিচয় পত্র দেখিয়ে। তবে এবারে সেই নিয়মে বদল আনল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
মান্থলি ছাড়াও, এবারে শর্তসাপেক্ষে দৈনিক টিকিট কেটেই যাত্রা করা যাবে লোকাল ট্রেনে। সোমবার থেকেই ওই টিকিট বিক্রী শুরু হয়েছে।
‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে রেল শুরু করেছে দৈনিক টিকিট বিক্রি। তবে যাত্রীদের টিকিট কাউন্টারে জানাতে হবে কী জরুরি কাজের কারণে উঠতে চাইছেন ট্রেনে। রবিবার রেলের তরফে শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রত্যেক স্টেশনে ভার্বাল (verbal) উপায়ে ও মোবাইল মেসেজে পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, ‘অন ডিমান্ডে’ যাত্রীদের টিকিট দেওয়ার জন্য।
সোমবার রেলের সমস্ত বুকিং অফিসে শিয়ালদহের এসিএম (ACM) তথা ডিভিশনের মুখপাত্র হরিনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এই মর্মে মেসেজ পাঠিয়ে বলেন, কোনো যাত্রী যদি জরুরী কারণে টিকিট না পেয়ে যদি অভিযোগ তোলেন তাহলে তার দায় পড়বে বুকিং কাউন্টারের কর্তব্যরত কর্মীর উপর। এরপর থেকেই মঙ্গলবার শিয়ালদহের প্রতিটি স্টেশনে শুরু হয়েছে আমজনতা কে টিকিট বিক্রির কাজ।
তবে শিয়ালদহ ডিভিশনে এই সুবিধা চালু হলেও , হাওড়া ডিভিশনে এখনও চালু হয়নি টিকিট দেওয়া। কেন এই দ্বিচারিতা এই নিয়ে মঙ্গলবার হাওড়া ডিভিশনে বিভিন্ন স্টেশনে ঝামেলা হয়েছে। পাশাপাশি রেল ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়ায় বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। কিন্তু সীমিত সংখ্যক স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলায় চাপ বাড়ছে ট্রেনের উপর।
বাড়ছে ভীড়ও। রেল জানিয়েছে রাজ্যে ইমারর্জেন্সি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে বহু ক্যাটেগরি রয়েছে। হয়ত কেউ ওষুধের দোকানের কর্মী, কারো বা আবার পরিবারের সদস্য অসুস্থ , তাকে দেখতে যাচ্ছেন। এদের প্রয়োজন হলেও এনারা কি ডকুমেন্ট দেখিয়ে টিকিট কাটবেন। এদের কথা মাথায় রেখেই ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে দৈনিক টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে’।