পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় রবিবার এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তানকে কুড়াল দিয়ে খুন করার পর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। জেলা পুলিশ প্রধান এস. সেলভামুরুগান বলেছেন যে তার দল ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি পুরুলিয়ার কাশিপুর ব্লকের মানিয়ারা গ্রামের। অভিযুক্তের নাম গৌতম মাহাতো।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছে ওই দম্পতির মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। রোজ রোজ চলত এই ঝগড়া। এই দেখে অভ্যস্ত ছিল প্রতিবেশীরাও। শনিবার সন্ধাবেলাও কলহ বাঁধে দুজনের মধ্যে। খুব একটা গা করেনি আশপাশের লোক। কিছুক্ষণের মধ্যে থেমেও যায় সব কিছু। কিন্তু হঠাৎই ওই বাড়ির ভিতর থেকে ভেসে আসে গোঙানির শব্দ। শুনে কি হয়েছে দেখতে আসেন প্রতিবেশীরা। এসেই হতভম্ব হয়ে যান তারা। দেখেন সারা ঘরে রক্ত। পড়ে এসব স্ত্রী সন্তানের নিথর দেহ। ঠিক তার পাশেই পড়ে বছর পঁয়ত্রিশের যুবক। মুখ দিয়ে গ্যাজলা বার হচ্ছে তার। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ পান করা যুবককে।
পুলিশ প্রধান সেলভামুরুগান জানান যে তাঁর দল অভিযুক্ত গৌতম মাহাতোর বাড়িতে পৌঁছলে, তারা সেখানে ঘরে তাঁর স্ত্রী মমতা মাহাতো এবং দুই সন্তানের (একটি ছয় বছরের ছেলে এবং একটি তিন বছরের মেয়ে) মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তবে নিহতের স্ত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, অভিযুক্ত গৌতম মদ্যপানে আসক্ত ছিল, সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের প্রায়শই মারধর করত।
অপরদিকে, বিহারের মুজাফফরপুর জেলার পারু থানার অন্তর্গত খুতাহি গ্রামে, এক ছেলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে বাবা-মাকে মারধর করে এবং তাদের হত্যা করে। সরাইয়ের ডেপুটি পুলিশ সুপার রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত অজয় সাহনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশ নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।