যদি মানুষের শখের কথা বলা হয় তবে তা অদ্ভুতুরে বললে ভুল হবে না। নিজে কত কিছু কিনে সংগ্রহে রাখে তার ঠিক নেই। সম্প্রতি একটি আকর্ষণীয় সাথে সাথে অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে যা ঘটেছে পাঞ্জাবে। বেশ কয়েকটি চপার কিনেছেন এক ব্যক্তি ভারতীয় বায়ুসেনা থেকে, সেই ব্যক্তি একজন স্ক্র্যাপার। শুধু এটা ভাবুন লোকে যখন যেসিবি বা ক্রেন দেখতে জমায়েত করতে পারেন তাহলে এই কেনা হেলিকপ্টার দেখতে কত লোক আসতে পারেন।
এই পুরনো জাঙ্ক হেলিকপ্টারগুলো দেখতে লোকেরা জড়ো হয়েছে এবং লোকেরা প্রচুর সেলফি তুলছে সেই হেলিকপ্টার এর সাথে। এই হেলিকপ্টার কিনেছেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা মিতুরাম আরোরার ছেলে ডিম্পল অরোরা। এগুলি কিন্তু বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যা এই ব্যক্তি উত্তর প্রদেশ সাহারানপুর জেলার সর্সাওয়া বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সংগ্রহ করেছিল।
আসুন আমরা আপনাকে বলি যে এই হেলিকপ্টারগুলো কিনেছেন তিনি অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে এবং যার জন্য তিনি দরপত্রটি পূরণ করেছিলেন এবং তারপরে তিনি এই হেলিকপ্টার গুলি নিজের নামে করেছিলেন 2 লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে। 10 টন এই হেলিকপ্টার গুলির প্রত্যেকটির ওজন ।
সূচ থেকে শুরু করে জাহাজ পর্যন্ত সবকিছু রাখেন ডিম্পল এর বাবা মিতু রাম তার দোকানে। কেবল তিনটি হেলিকপ্টার বিক্রি হয়েছিল ছটি হেলিকপ্টার কেনার পরে। মুম্বাইয়ের একজন নিয়েছেন যার একটি এবং অন্যটি লুধিয়ানার একজন কিনেছেন। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় নিজের দোকানে নিয়ে আসেন বাকি তিনটি হেলিকপ্টার ।
সেখানে এটি দেখার জন্য প্রচুর লোক আগ্রহী হয়ে ভিড় করে ছিল হেলিকপ্টার গুলি নিয়ে আসার সাথে সাথে। এই লোক গুলির মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রথমবারের মতন দেখেছে হেলিকপ্টার মাটিতে দাঁড়াতে। তাই লোকেরা তাদের সেলফি তুলতে শুরু করে হেলিকপ্টার এর সাথে।
তার কাজ সম্পর্কে ডিম্পল বলেছেন যে জাঙ্ক বিক্রির এই কাজটি বাবা 1988 সালে শুরু করেছিলেন এবং পরে তাদের কাজ বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। এখন জাঙ্কের এই কাজটি এত বেশি বিস্তৃত হয়েছে তাদের যে সেগুলি রাখতে তার 6 একর জমির প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে সেখানকার লোকেদের জন্য বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে হেলিকপ্টারগুলো এবং পুরো শহরটি একটি পর্যটন স্পট এ পরিনত হয়েছে। সেখানে আসছেন শিশু এবং পরিবারসহ লোকেরা হেলিকপ্টার দেখার জন্য প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যায়।পুলিশ কেও আসতে হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য লোকেরা এত ভিড় করছে যে ।