মহারাষ্ট্রের পুনেতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষে কোনো ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট না পাওয়ার ভয়ে শুক্রবার ২১ বছর বয়সী এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ দিয়ে দিয়েছে। পশ্চিম পুনের আইটি হাব হিঞ্জাওয়াড়ির কাছে সুসগাঁও এলাকায় নিজের বাড়ির অষ্টম তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। নিহত ছাত্র একটি নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিল। হিঞ্জেওয়াড়ি থানার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘আমরা একটি সুইসাইড নোট পেয়েছি যাতে তিনি লিখেছেন যে তিনি ভয় পেয়েছিলেন যে তিনি কোর্স শেষ করার পরেও হয়তো কোথাও প্লেসমেন্ট পাবেন না। আত্মহত্যাকারী যুবকের নাম অক্ষয় অমল মাতেগাঁওকর বলে জানা গেছে।
ছেলে অক্ষয়ের আত্মহত্যায় শোকাহত গোটা পরিবার। হিঞ্জওয়াড়ি থানার পুলিশ মামলা দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অক্ষয় পুনের সিম্বিওসিস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে ক্যাম্পাসিং এ চাকরি হবে কিনা সেই নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যার আগে অক্ষয় একটি চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি চাকরি পাব না, তোমাদের ইচ্ছা পূরণ করতে পারব না, আমি আমার জীবন শেষ করছি।’
অক্ষয়ের পরিবার উচ্চ শিক্ষিত:
অক্ষয়ের বাবা অমল মাতেগা প্রিন্সটন ব্লু-এর একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং তিনি ওই কোম্পানির এই ক্ষেত্রে সারা ভারতের প্রধানও। মা মিনাল মাতেগাঁওকর মুম্বইয়ের মুকেশ প্যাটেল স্কুল অফ টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান। এবং বোন আকাঙ্কা মাতেগাঁওকর এমআইটিতে ডিজাইনিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী। মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরেই কি এই কান্ড! প্রশ্ন সকলের।