সেই ৯০ দশকের থেকে আজ পর্যন্ত সবাই জানে টলিউড মানেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে টলিউডের সর্বোত্তম অভিনেতা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছোট্ট জিজ্ঞাসা দিয়েই ছোট বেলা থেকেই এই টলিউডে তিনি অভিনয় করে চলেছেন। তার বাবা ছিলেন বিখ্যাত বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তার হাত ধরেই টলিউডে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ ।বাংলার সবার আদরের বুম্বা দার সেই থেকে পথ চলা শুরুশুরু। নবাগত অভিনেতা দের অনুপ্রেরণা তিনি।
তার বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় সেসময় বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ছিলেন। তিনি একাধিক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। বলিউডে একসময় প্রসেনজিৎও পাড়ি দিয়েছিলেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ১৯৯০ সালে ‘আঁধিয়া’ ও ১৯৯১ সালে ‘মিত মেরে মন কে’ এই দুটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল। তবে ঐ সময়ে এই দুটি ছবি ফ্লপ হয়েছিল। অভিনেতার পসার সেভাবে জমে উঠতে পারেনি বলিউডে।
আমরা সকলেই সালমান খানকে চিনি। তিনি বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই আজ সালমান খান ভাইজান হয়ে উঠেছেন বলিউডের এটা জানেন কি। অবাক হচ্ছেন নাকি? অবশ্য ঘটনা তো অবাক হওয়ার মতই। তবে চলুন খুলে বলা যায়।
যখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলিউডে পা রেখেছিলেন শুরুতে, তারপরেই তিনি অভিনয় করার অফার পেয়েছিলেন ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ও ‘সাজন’ দুটি ছবিতে। ঐ সময়ে তার হাতে অন্য কাজ থাকায় এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি বলিউডের এই দুটি সিনেমা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সম্ভবত। পরে প্রসেনজিৎ-এর জায়গায় এই দুটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন সালমান খান।
সালমান খানের অভিনয় জীবনের শুরুর দিকের সবথেকে বেশি হিট দুটি সিনেমা। সালমান খান হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের ভাইজান এই দুটি সিনেমায় অভিনয় করার পরই। তাই অনেকেরই ধারণা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রসেনজিৎ-এর জন্যই আজ সালমান খান বলিউডের এত বড় অভিনেতা হয়ে উঠেছেন।