বলা হয় মানুষ জাতি শ্রেষ্ঠ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের এমন কিছু ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে যা শুনলে অবাক হতে হয় যে সভ্যতা কোন পথে এগোচ্ছে। এমনই এক ঘটনার কথা আবারো শোনা গেল। কেরালার কাসারাগোড জেলার কানহনগাড় থেকে এক অমানবিক ঘটনার কথা সামনে এসেছে। সেখানে চার মাসের এক গর্ভবতী ছাগলকে ধর্ষণ করেছে তিনজন যুবক। দুষ্কর্ম ঘটানোর পর তিনজন মিলে ছাগলটি কে প্রাণে মেরে ফেলে। হোসাদুর্গা পুলিশ জানিয়েছে, ছাগলটি কোটাচেরির এলিট হোটেলের পোষ্য। প্রায় এক মাস পরে তার সন্তান প্রসবের কথা ছিল।
অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সেন্থিল নামে এক হোটেল কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে হাসদুর্গ থানা পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং সেন্থিলের সাথে দুষ্কর্ম জড়িত থাকা আরও দু’জনকে খুঁজছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে হোটেলের পিছনের উঠোন থেকে একটি ছাগলের চিৎকার শুনতে পান কর্মীরা। সেখানে ছাগলটি বেঁধে রাখা হয়েছিল।
বাইরে এসে তারা তিনজন লোককে দেয়াল টপকে দৌড়ে পালাতে দেখেন। তিনজনের মধ্যে সেন্থিলকে তারা ধরে ফেলেন। অপর দুইজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারা ছাগলটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। হোটেলের কর্মচারীরা দৌড়ে এসে দেখে অভিযুক্তরা ছাগলটিকে মেরে ফেলেছে। এরপর পুলিশে খবর দিলে হোসাদুর্গা থানা পুলিশ এসে সেন্থিলকে গ্রেফতার করে।
হোটেলের মালিক জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সেন্থিল সাড়ে তিন মাস আগে চাকরির খোঁজে এসেছিলেন। তখন থেকে তাদের হোটেলে কর্মরত সে। পুলিশ জানিয়েছে যে ধৃতদের বিরুদ্ধে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) 377 ধারার অধীনে অস্বাভাবিক অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা রুজু করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির 377 ধারায়, পশুদের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। এতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পর্যন্ত হতে পারে।
প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন প্রণীত হয়েছিল প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ ও তার থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য। ভারতীয় দণ্ডবিধির 428 ধারা অনুসারে, কোনও প্রাণীকে হত্যা বা পঙ্গু করার অপরাধ শাস্তিযোগ্য। দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সশ্রম কারাদন্ড, বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হতে পারে।