সারা দেশে করোনা মহামারীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্লাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস। ইতিধ্যেই গুজরাট, রাজস্থান ইত্যাদি রাজ্যে এই ছত্রাকে আক্রান্ত বহু মানুষ। সেই সব রাজ্যে এই ফাঙ্গাস সংক্রমন কে মহামারী হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়াটাই ভীষণ স্বাভাবিক। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন অযথা আতঙ্কিত হবেন না। এই ব্লাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসের সংক্রমন এড়াতে কি করণীয় তা জানালেন চিকিৎসাবিদরা।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণগুলি কী কী?
কোভিড থেকে সেরে ওঠার সময়ে বেশ কিছু মানুষ কে নতুন ভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হতে দেখা গিয়েছে। করোনাতে দুর্বল হলে দেহে বাসা বাধে এই ছত্রাক। করোনা আক্রান্ত বেশি দিন আইসিইউ-তে থাকলে, কিংবা চিকিৎসার সময়ে স্টেরয়েডের ব্যবহার বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এমন ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ঢুকে পড়ছে শরীরে।
মেডিক্যাল সাইন্স- এর ভাষায় এই রোগকে চিহ্নিত করা হচ্ছে মিউকোরমাইকোসিস নামে।
কি ভাবে সাবধান থাকবেন?
অযথা আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু সতর্কতা মেনে চলতে। এতে করে আপনি অনেকটাই সাবধানে থাকতে পারবেন।
কি কি সতর্কতা?
১. যে সমস্ত জায়গায় বেশি ধুলোবালি রয়েছে সেসব জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। আর যদি যেতেও হয় তাহলে ভালো মানের এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
২. তোকে যাতে কোন ইনফেকশন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোথাও কেটে বা ছড়ে গেলে ত্বকের সেই স্থানটি যাতে ধুলো-ময়লার সংস্পর্শে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. আপনি যদি করোনা আক্রান্ত হন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা একান্ত দরকারী।
৪. করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানী হতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন স্টেরয়েডের ব্যবহার রক্তের শর্করার মাত্রা কে অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে। ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমতি হবার ঝুঁকি বেশি হয়।
৫. অক্সিজেন সিলিন্ডারের থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমন হতে পারে। করোনা রোগীকে অক্সিজেন প্রদান করতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে করতে হবে।
৬. পরিষ্কার মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। মাস্ক- এ ধুলো বালি থাকলে ছত্রাকজনিত সংক্রমন হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।