করোনা ক্ষতি করছে হার্ট এর। করোনা আক্রান্ত হলে ঠিক কী সমস্যায় পড়তে পারেন হার্টের রোগীরা। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানবদেহের হৃৎপিণ্ড গোটা দেহতে রক্ত পাম্প করে পৌঁছে দেওয়ার যন্ত্র। হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে বলেই শরীরের এক একটি কোণে পৌঁছে যায় অক্সিজেন এবং তাজা সমৃদ্ধ রক্ত। মানব দেহের জীবন্ত কোষগুলি পায় বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ। এবার দেহের বাকি প্রতিটি অঙ্গের মতো হার্টও নিজের কাজ সফলভাবে করে যাওয়ার জন্য অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত প্রয়োজন। হৃদপেশিকে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে আমাদের করোনারি ধমনী। তাহলে বুঝতেই পারছেন হৃদযন্ত্রটিকে সুস্থ রাখা কতটি প্রয়োজনীয়।
কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমনের ফাইল হার্টের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এমনকি হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারেন সংক্রমিত ব্যাক্তি। আবার সামান্য হার্টবিট রেট বেড়েই সমস্যা শেষ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ব্লাড ভেসেলে জমাট বাঁধছে পারে রক্ত। একই ভাবে আক্রান্ত হতে পারে আপনার ফুসফুসও। চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় একে পালমোনারি এমবোলিজম বলে।
করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর সাধারণভাবে রোগীর হার্টবিট একটু কম থাকে। তবে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ঠিকও হয়ে যায়। তবে করোনার ফলে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় হৃদ পেশী ফুলে যায়। যার জেরে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে।
তাহলে এর থেকে বাঁচার উপায়?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কোভিড পরবর্তী কার্ডিয়াক কেয়ার। রোগীদের সময়মতো হার্টের ওষুধ নিয়ে যেতে হবে। ব্লাড থিনারসের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। হার্ট সুস্থ রাখতে রোজ ব্যায়াম প্রয়োজন ৪৫ মিনিটের। সঙ্গে সুষম আহার ও ইতিবাচক চিন্তাধারা জরুরি হার্ট সুস্থ রাখার পক্ষে । ‘আন প্রসেসড ফুড’ খাওয়া উচিত হৃদযন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে।
শরীরের ওজনের বিষয়ে সচেতন হোন কোভিডের সময়। যাতে কোনওভাবে জলের পরিমাণ কম না হয় শরীরে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ধূমপান করবেন না এই সময়। এমনকী নিজেকে সংযত রাখুন খাবার বা মদ্যপানের ক্ষেত্রেও। এই সময় বুদ্ধিমানের কাজ বাড়িতে সবসময় এক মাসের ওষুধের স্টক বজায় রাখা। সামাজিকতা বজায় রাখুন করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও । কথা বলুন বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে । এতে সুস্থ থাকবে হার্ট ।