জোমাটো ডেলিভারী বয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তার গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। এই জোমাটো ডেলিভারী বয়ের অপরাধে তার উপর অমানবিক ভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে এই ঘটনার ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই ডেলিভারী বয়কে বেধড়ক মারধর করছেন তামিলনাড়ু ট্রাফিকের ওই পুলিশকর্মী। নেটিজেনদের প্রশ্ন যে তাকে এভাবে মারধর না করে গ্রেফতার করতেই পারতেন ওই পুলিশ কর্মী।
কী হয়েছিল সেখানে ? ভেঙ্কটেশ নামের ওই ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে তামিলনাড়ুর বিরুধুনগর জেলার শ্রীভিল্লিপুথুরে রাস্তায় বচসা শুরু হয় ধরমরাজ নামের ট্র্যাফিক সাব ইন্সপেক্টরের। ক্রমেই এমন চরম অবস্থায় গণ্ডগোল পৌঁছয়, যে ভিড় জমে যায় চারপাশে। ২৯৪ (বি), ৩৫৩, ৩০৭ ও ৫০৬(২)-এর মতো একাধিক ধারায় পুলিশ ভেঙ্কটেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা জানিয়েছে, একটি ছুরি বের করে ধরমরাজকে হুমকি দিচ্ছিলেন ভেঙ্কটেশ।
আর তাতেই ওই পুলিশ আধিকারিক ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন। ওই আধিকারিকের নাম ধর্মরাজ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে রাস্তার চারপাশে লোক জড়ো হয়ে যান এই ঘটনায়। সকলেই ওই যুবককে এভাবে মারধর না করার অনুরোধ জানান পুলিশ আধিকারিককে। কিন্তু তিনি তাতে কোন কর্ণপাত করেননি। কেউ কেউ এই ঘটনা ফ্রেমবন্দী করেন পথচারীদের মধ্যেই।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবককে মারধর করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পুলিশ এসে ওই যুবককে শেষে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে এবং একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয় তামিলনাড়ুর বিরুধুনগর জেলার শ্রীভিলিপুথুরের এই ঘটনা ভাইরাল হতেই। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ দেখেছেন এই ছবি। এভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় এক যুবককে মারধর করার জন্য অনেকেই পুলিশ কর্মীর নিন্দা করেছেন। অন্যায় করলে নিশ্চয় তার সাজা পাওয়া উচিত, তবে এভাবে মারধর করা এক্কেবারেই বেআইনি বলে তাদের সকলের বক্তব্য।