পাত্রী রীতিমতো সাবালক। সকলের সম্মতিতেই করা হয়েছে বিয়ে স্থির। জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আচমকাই হানা দিল প্রসাশন। জানিয়ে দিল হবে না বিয়ের অনুষ্ঠান। কি কারণে জানেন?
ঘটনাস্থান পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar)। সেখানকার বছর ছাব্বিসের এক তরুণীর বাড়িতে আগামী রবিবার বিয়ের দিন ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যস্ততা ছিল পরিবারের। তৈরি হয়ে গিয়েছিল বিয়ের প্যান্ডেল। বাজারহাটও প্রায় সম্পূর্ণ ছিল। তাও প্রশাসন পৌঁছে ভেঙ্গে দিল বিয়ে।
বিয়ের সব আয়োজন পরিবারের তরফে হয়ে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার ওই তরুণী দাঁতের স্কেলিং করতে বর্ধমানের ডেন্টার হাসপাতালে যান। সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই নিয়ম-মাফিক সেই রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরের অফিসে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আসেন ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক।
এদিন বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন পাত্রীর বাবা। তিনি জানান, ‘আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিলাম যাতে বিয়েটা অন্তত হয়। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। আমার চরম ক্ষতি হয়ে গেল।’ ভেঙে পড়েছেন পাত্রীর মাও। তাঁর কথায়, ‘হাট-বাজার সব করা হয়ে গিয়েছে। এখন জানি না কী হবে।’ যদিও তরুণী বক্তব্য, তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গই ছিল না। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর সন্দেহ হলে ফের করোনা পরীক্ষা করাই। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট এসেছে। তাহলে কোন রিপোর্টটা ঠিক?’
ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ভাতারের বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই তরুণীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতোই বিয়ে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।