দেবভূমি হরিদ্বার। পুণ্যের খোঁজে প্রতিবছর শত শত পুণ্যার্থী ভিড় জমান হরিদ্বারে। গঙ্গা স্নানে সব পাপ ধুয়ে ফেলেন। কিন্তু সেই হরিদ্বার থেকেই সামনে এল এমন এক নোংরা কাণ্ডের চক্র। গঙ্গার তীরে এই শহরেই রমরমিয়ে চলছে সেক্স ব়্যাকেটের এক বিশাল বড় চক্র। হোটেলে হোটেলে ছড়িয়ে যাচ্ছিল সেই চক্রের বিস্তৃতি। পুলিশ কিছুই টের পায়নি। কিন্তু অবশেষে এই মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়েছে সেক্স ব়্যাকেটের এর মূল পান্ডা এবং আরো সাত অভিযুক্ত। বর্তমানে তাদের কঠোর ভাবে জেরা করছে হরিদ্বার পুলিশ এর অ্য়ান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং সেল (Anti Human Trafficking Cell) বা AHTC।
জানা গিয়েছে, পুলিশের জালে ধরা পড়েছে যে সাত জন তারমধ্যে চারজন যুবতী এবং তিনজন পুরুষ। এছাড়াও গ্রেফতার যারা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন এই চক্রের পাণ্ডা। অভিযুক্তের নাম পূজা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে রাজধানী দিল্লীতে বসে হরিদ্বারের নানান হোটেলে এই সেক্স ব়্যাকেট (Sex Racket) পরিচালনা করতো ওই মহিলা। শুধু যে হরিদ্বার তাই নয়, সাড়া দেশ জুড়ে এই অপরাধের চক্র জাল বিস্তার করেছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হরিদ্বারের গোবিন্দপুরীর একটি হোটেলে অপারেশন চালান পুলিস কর্মীরা। অভিযান চালানোর সময় হোটেলের একটি কামরায় একই সাথে চরম শারীরিক ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বেশ কয়েকজন যুবক ও যুবতীদের একত্রে দেখতে পান। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয় যার মধ্যে দুজন পশ্চিমবঙ্গের তরুণী রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায় না। গ্রেফতার করে পুলিস স্টেশনে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেক্স ব়্যাকেটের বিষয়টি সামনে আসে।
এই বিষয়ে পুলিসের আধিকারিক নরেন্দ্র সিং বিস্ত জানান, পূজা নামের ওই মহিলাই সম্পূর্ন সেক্স ব়্যাকেটটা চালনা করত। তাকে এই কাজে সহায়তা করত আকাশ নামে এক যুবক। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। সেখানেই মধুচক্রের সাথে যুক্ত তরুণীদের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হত। এরপর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এর মাধ্যমে স্থির হওয়া নির্দিষ্ট সময়ে হোটেলের ঘরে পৌঁছে যেত তরুণীরা। যারা ধরা পড়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করে এই চক্রের সাথে আর যারা যুক্ত তাদের অব্দি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে পুলিস।