খিদের জ্বালায় খাবার কেনার জন্য বারবার টাকা চাইছিল এক শিশু। আর তাতেই রেগে ধৈর্য হারিয়ে ৬ বছরের একটি বাচ্চা ছেলেকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। জানুন পুরো বিষয়টা কি?
মধ্যপ্রদেশের দাতিয়ায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। সেই খুনের রহস্য যখন সমাধান হল, তখন জানা গেল রক্ষকই ভক্ষক। তাকে খুন করেছে একজন পুলিশ। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী খবর যে হেড কনস্টেবল রবি শর্মা শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে, রবি শর্মা নিজেও তার অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং এখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়ালিয়র ট্রেনিং সেন্টারে নিযুক্ত হেড কনস্টেবল রবি জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছিলেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদ ও বিষণ্নতায় ভুগছেন। কিছুদিন আগে পঞ্চশীল নগর কলোনিতে ডিউটি করার সময় শিশুটি তার কাছে বারবার খাবার কেনার জন্য টাকা চাইছিল। তিনি এতে ভীষণ বিরক্ত হচ্ছিলেন। প্রত্যাখ্যান করার পরেও, যখন শিশুটি যায়নি আর তার কাছে খাবার কেনার টাকা চায়, তখন সে মাথা গরম করে তাঁকে হত্যা করে এবং দেহটি গোয়ালিয়রের বিবেকানন্দ চৌরাহা বিজ্ঞান কলেজের পিছনে ফেলে দেয়।
এসপি আমান সিং রাঠোর জানিয়েছে, ছয় বছর বয়সী মায়াঙ্কের পিতা একটি সেলুনে কাজ করে। বাচ্চাটি বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে তার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছিল। এদিকে গোয়ালিয়র সায়েন্স কলেজের পিছনে একটি শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই তদন্তে নিযুক্ত ছিল পুলিশ। পুলিশ মায়াঙ্কের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গোয়ালিয়রে পৌঁছে সেই মৃতদেহটি দেখালে তারা শনাক্ত করে। বিবেকানন্দ চৌরাস্তায় লাগানো সিসিটিভিতে মৃতদেহ ফেলার ফুটেজও পায় পুলিশ। সিসিটিভি ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যায়, রবি শর্মা একটি কালো রঙের ওয়াগনআর গাড়ি করে আসে এবং মৃতদেহ ফেলে দিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে জেরা করলে সে নিজের দোষ স্বীকার করে।