বিয়েবাড়ি মানেই উদযাপন। কিন্তু বিয়ের আনন্দে মানুষ মাঝে মাঝে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে এমন কিছু করে যা আনন্দের পরিবেশই বদলে দেয়।
একটি বিয়ে বাড়িতে ডিজে-র তালে নিজের শালির সাথে নাচতে থাকা জামাইবাবুকে হঠাৎই পুলিশ এসে থানায় নিয়ে গেলো। এটা দেখে মানুষ অবাক হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, মদের নেশায় শালীকে বারবার ডিজে-তে সঙ্গে নাচতে বাধ্য করার চেষ্টা করছিল ওই ব্যাক্তি। এ সময় শ্যালিকা তার জামাইবাবুর কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু জামাইবাবু নেশায় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জামাইবাবুর অত্যাচারে অস্থির হয়ে শ্যালিকা পুলিশে ফোন করে দেন।
এই ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলার কুরারা শহরের। ভগ্নিপতির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই জামাইবাবু কে থানায় নিয়ে যায় এবং রাতভর লকআপে রাখে। দুপুর নাগাদ পরিবারের লোকজন থানায় পৌঁছে পারস্পরিক সমঝোতার পর তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে।
আসলে, গ্রামের বাসিন্দা জগরূপ গুরগাঁওয়ে গার্ডের কাজ করেন। তার ছোট ভাই জগদীশের বিয়ে হয় ১০ জুন বান্দায়। বিয়েতে জগরূপের শ্যালিকাও এসেছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাধাই পূজার অনুষ্ঠান চলছিল। বাড়িতে সবাই ডিজের সাথে নাচছিল। জগরূপও সেই সময় নাচছিল। এসময় তিনি তার শ্যালিকার হাত ধরে জোর করে নাচতে থাকেন। শ্যালিকা প্রথমে অল্প সময় নাচলেও তারপর অস্বীকার করে। কিন্তু জগরূপ তাকে বারবার নাচতে বাধ্য করে। এতে শ্যালিকা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা অর্থাৎ জগরূপের শ্বশুরের কাছে অভিযোগ করেন। তার বাবা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে ডেকে পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জগরূপকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রাতভর থানায় থাকলেও বিকেলে পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে স্টেশন ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার জানান, ডিজে-তে নাচ নিয়ে নেশাগ্রস্ত জামাইবাবু ও শালীর মধ্যে ঝগড়া হয়। উভয়পক্ষকে বসিয়ে মীমাংসা চলছিল। কিন্তু দুজনের মধ্যে কোনো কথা না হওয়ায় পুলিশ জাগরূপকে ১৫১ ধারায় চালান করা হয়।