বিহারের রোহতাস জেলায় এক মহিলাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করার ঘটনা সামনে এসেছে। ওই মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেছে ওই নারীর স্বামী ও অন্যান্য স্বজনরা। ঘটনাটি চেনারি থানার সিংহপুর গ্রামের লোহরা টোলার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্ত নারীর স্বামীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বলা হচ্ছে, নির্যাতিতা তিন সন্তানের জননী হলেও তার স্বামী দীপক রাম তাকে চরিত্রহীনতার অভিযোগ এনে সন্দেহ করতেন। দীপক রাম তার স্ত্রীকে তাদের বাড়ির দরজায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। তা দেখে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়। অভিযোগ, ওই মহিলার স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন। দীর্ঘক্ষণ ওই মহিলাকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সে কাকুতি মিনতি করতে থাকে। কিন্তু কেউ তাকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে বাঁধন খুলে ওই মহিলাকে মুক্ত করে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দীপক রামের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। তিন সন্তানের মা হওয়ার পরও ওই নারীর স্বামী চরিত্রহীনতার অভিযোগ এনে প্রতিদিন তাকে মারধর করতেন। কিন্তু শনিবার সে সব সীমা অতিক্রম করে যায় যখন ওই নারীকে তার স্বামী সবার সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে তাকে মারধর শুরু করে।
বিষয়টি নজরে আসার পর রোহতাসের পুলিশ সুপার (এসপি) আশিস ভারতী টিম ফোর্সসহ চেনারি থানাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তৎপরতা দেখিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিতার স্বামী দীপক রাম, শ্বশুর শিবপুজন রাম ওরফে চিরকুট রাম, এছাড়াও মহিলার শ্বশুরবাড়ির পরিজনের মধ্যে ধীরেন্দ্র রাম, নরেন্দ্র রাম এবং কেদার রামকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে খুঁজছে পুলিশ।