আজকাল ছেলে বা মেয়ে, সবাই ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে। নারীরা ইদানিং বেশ চুল ছোট করে, কিছু পুরুষরাও লম্বা চুল রাখতে শুরু করে এবং তাদের লুকস বা চেহারায় একটা আলাদা স্টাইল আসে। এমতাবস্থায় তাদের দূর থেকে দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন তারা পুরুষ না মহিলা। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের এমনই এক ছেলের কথা বলতে যাচ্ছি, যার লম্বা চুল দেখে মানুষ তাকে মেয়ে ভাবত, কিন্তু সম্প্রতি যখন সত্যটা সামনে এল, তখন মানুষ তাঁর বিষয়ে জেনে হতবাক হয়ে যায়। মেয়ে বলে মানুষ যা ভাবছিল, বাস্তবে সে একটি ছেলে হয়ে গেল। এই অদ্ভুত (Strange) ব্যাপারটি আজকাল ইন্টারনেট দুনিয়ায় তুমুল চর্চিত।
আসলে, ব্রিটেনে বসবাসকারী ১১ বছর বয়সী একটি ছেলের তার চুলের প্রতি এতটাই ভালোবাসা ছিল যে সে কখনও চুল কাটত না। তার সুন্দর, লম্বা এবং স্বর্ণকেশী চুল দেখে লোকেরা প্রায়শই ভুল বুঝতো এবং তাকে মেয়ে বলে ভুল করতো। এমনকি যখন সে তার লম্বা চুল নিয়ে স্কুলে যেতেন, সেখানে তাকে যারা চিনত না তারা তাকে মেয়ে ছাত্রী বলে মনে করত। যদিও শিশুটির বয়স অনেকটাই কম আর সেই কারণেই তাকে অনেক একটি বাচ্চা মেয়ে ভাবতো। এখন শিশুটি তার চুল কেটে ফেলেছে এবং এমন একটি মহৎ উদ্দেশ্যে সে চুল কেটেছে যে কেউ তার প্রশংসা না করে থাকতে পারে না।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুটির নাম এলি ম্যাকজি (Eli McGee) এবং সে তার পরিবারের সাথে কেমব্রিজশায়ারে (Cambridgeshire) থাকে। বাচ্চা ছেলেটি তার স্বর্ণকেশী চুল থেকে 27 ইঞ্চি এবং 16 ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের চুল কেটে দান করেছিলেন। ক্যান্সারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের চিকিৎসা চলাকালীন যাদের চুল উঠে যায় সেই সব শিশুদের জন্য বাচ্চাটি তার চুল দান করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলির মা বেকি ব্রেইনেটেরও ক্যান্সার ছিল। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিলেন। যেহেতু তিনি ক্যান্সারের প্রথম পর্যায়ে ছিলেন, তাই চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সুস্থ হয়েছিলেন, কিন্তু এই সময়ে এলি হাসপাতালের চিকিত্সক, কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি চুল কেটে দান করার মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের ধারণা নিয়ে আসেন, যা ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় সাহায্য করবে। এলির এই ফান্ড রেইসিং (Fund Raising) আইডিয়া দারুণ সফল হয়েছে এবং বিভিন্ন লোকে চুল কাটার মাধ্যমে দান করা টাকার থেকে হাসপাতালের জন্য এক লাখ টাকারও বেশি ফান্ড জমা হয়েছে। ওই টাকা ক্যান্সার রোগী, হাসপাতালের কর্মী ও ক্যান্সার গবেষণায় ব্যয় করা হবে বলে জানানো হচ্ছে।